বিএলওর মৃত্যু কৃষ্ণনগরে মহুয়া সায়নীর মহা মিছিল! চাপে নির্বাচন কমিশন
বাংলার জনরব ডেস্ক : কৃষ্ণনগরের বিএলও শিক্ষক রিঙ্কু তরফদারের মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়ে উঠেছে। রিঙ্কু তরফদার আত্মঘাতী হওয়ার আগে তার সুইসাইড নোটে তিনি যেভাবে নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছেন এবং তার মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী বলে তিনি উল্লেখ করে গেছেন। তার লেখা সুইসাইড নোট থেকে জানা যাচ্ছে,সংসার করতেই চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই সুখ কেড়ে নিল নির্বাচন কমিশনের এসআইআর চাপ। বছর চুয়ান্নর শিক্ষিকার আবেগময় দীর্ঘ চিঠি নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকেই। তাঁর এই মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। এবার তাঁকে সামনে রেখে কৃষ্ণনগরের মাটিতে এসআইআর প্রতিবাদ সংঘটিত করতে চলেছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৬ নভেম্বর, বুধবার কৃষ্ণনগরের প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা হবে। থাকবেন স্থানীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্র, দলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।
এসআইআরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর মতুয়াগড়ে মিছিল করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরেরদিন, ২৬ নভেম্বর কৃষ্ণনগরের মাটিতে একই প্রতিবাদ হবে। নেতৃত্বে থাকবেন মহুয়া মৈত্র, সায়নী ঘোষ। কৃষ্ণনগরের কালেক্টরি মোড় থেকে পোস্ট অফিসের মোড় পর্যন্ত মিছিল হবে। তারপর পোস্ট অফিস মোড়ে হবে পথসভা। বক্তব্য রাখবেন যাদবপুরের সাংসদ তথা তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। এনিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দীপক বিশ্বাস জানিয়েছেন, ”বিজেপি সরকারের নির্দেশে এসআইআর হচ্ছে, এটা একটা চক্রান্ত। তার প্রতিবাদে আমরা প্রতিবাদে নামছি আগামী ২৬ তারিখ। আমাদের মাননীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্র, এলাকার ৬ বিধায়ক থাকবেন, বক্তব্য রাখবেন যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ।”

এছাড়া ওই তৃণমূল নেতা আরও জানিয়েছেন, ”এসআইআরের চাপে আমাদের এখানকার এক বিএলও-র মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে স্মরণে রেখে আমরা ওই সভা করব। মঞ্চে তাঁর ছবি থাকবে। আমরা এভাবেই মানুষকে বোঝাব কীভাবে এসআইআর পদ্ধতি মানুষের জীবনে সমস্যা তৈরি করছে। মানুষকে সচেতন করা হবে।” উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরের একাংশ মতুয়া অধ্যুষিত। তাই সেখানে আলাদা করে এসআইআর প্রতিবাদ একদিকে যেমন বিএলও-র মর্মান্তিক মৃত্যুতে কমিশনকে কড়া বার্তা, তেমনই মতুয়াদের মনজয়ের চেষ্টা।

