এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য! চাকরিহারাদের পরিণতি ?
বাংলার জনরব ডেস্ক : বুধবার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলা ফেরত পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর বৃহস্পতিবার সেই নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার। আগামী কাল SSC সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির জন্য বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন হাইকোর্টের এক আইনজীবী। ১৮ নভেম্বর থেকে নথি যাচাই শুরু হবে বলে জানান তিনি। এতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “পরীক্ষার কী হবে, কেউ জানে না, আর আপনি নথি যাচাই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন?” (SSC Case)।
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর SSC-র নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে ইন্টারভিউ পর্বও। তাই SSC সংক্রান্ত অন্য মামলার সঙ্গে তাঁর মামলার শুনানি যাতে আগামী কাল হয়, তার সপক্ষে সওয়াল করেন ওই আইনজীবী। তিনি জানান, ১৮ নভেম্বর থেকে নথি যাচাই শুরু হবে। ফলে আগামী কাল শুনানি হলেই ভাল। এতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “পরীক্ষার কি হবে কেউ জানে না, আর আপনি নথি যাচাই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।” (Calcutta High Court

গত কাল SSC-কে তীব্র ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৬ সালের যোগ্য চাকরিহারাদের সঙ্গে কেন নতুন প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হল, কেন নতুন বিধি তৈরি করা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলে সর্বোচ্চ আদালত। আদালত জানায়, মূল যে মামলার রায় ছিল সেখানে কোথাও বলা হয়নি নতুনদের নিয়োগ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট কোথাও বলেনি নতুন চাকরিপ্রার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। নতুন করে যে শূন্যপদ তৈরি করা হল, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে SSC. সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে এটা বলেনি। নতুন বিধি তৈরি করা নিয়ে এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উদ্দেশ্য ছিল যারা ‘চিহ্নিত দাগি’ নন, তাঁদের জন্য নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত করা।আদালতের রায়ে এদের চাকরি বাতিল হয়েছে। তাঁরা আবার সুযোগ পাবেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাদের জন্য় নতুন বিধি প্রযোজ্য হবে।” এর পর সব মামলাই হাইকোর্টে ফেরত পাঠানো হয়।
বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চেই সব মামলার শুনানি হতে পারে বলে গত কালই জানা গিয়েছিল। আর আজই এমন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন তিনি। ফলে SSC নতুন করে যে পরীক্ষা নিয়েছে, তার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৬ সালের যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কী হবে, তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনই নতুন পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল।
গোটা বিষয়টি নিয়ে গতকাল এবিপি আনন্দের স্টুডিও-য় ক্ষোভ উগরে দেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক অমিতরঞ্জন ভুঁইয়া। তিনি বলেন, “কাট অফ ক্লিয়ার করতে না পারা কোচবিহারের একজন স্যর এসে বলেন, ‘দাদা ২ নম্বরের জন্য কাটঅফ ক্লিয়ার করতে পারিনি। পরীক্ষার আগে বাবাকে হারিয়েছি, একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছি’। কত ম্যাডামের সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পাগল হওয়ার উপক্রম। আর এখানে রাজনীতি কপচাচ্ছেন? রাজ্য সরকার, বিচারব্যবস্থা, SSC, কেউ আমাদের কথা ভাবছে না। কোথায় যাব আমরা?”

