২০০২ সালের ভোটার তালিকা থেকে নাম উধাও প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের! গোঘাটের ঘটনায় চাঞ্চল্য
বাংলার জনরব ডেস্ক : ২০০২ সালের ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেল ৯৮ সালে পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারের সকলের। এই খবরটি এসেছে হুগলি জেলার গোঘাট থানার শ্যামবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার লালপুর গ্রাম থেকে। এই গ্রামের বাসিন্দা শেখ কাদের আলী দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেস করে আসছে। সেখ কাদের আলী এবং তার স্ত্রী দুজনই শ্যামবাজার পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন।
জানা গিয়েছে, স্ত্রী ১৯৯৮ সালে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা। স্বামীও পাঁচ বছর পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। অথচ নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা ২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই গোটা পরিবারের। পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন তাঁরা তৃণমূল করেন বলেই কি নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে? তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ায় তাঁরা নির্বাচন কমিশনের দিকেই আঙুল তুলছেন।

ঘটনাটি গোঘাটের শ্যামবাজার পঞ্চায়েত এলাকার। জানা গিয়েছে, শ্যামবাজারের লালপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ কাদের দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী। তিনি একসময় পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। তাঁর স্ত্রীও পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে সদস্য হয়েছিল। তাঁদের ছেলে শেখ হারুন বর্তমানে এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। যদিও পরিবারের ছয় জন সদস্যের নাম ২০০২ সালের তালিকা থেকে উধাও। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, তৃণমূল করার জন্যই তাঁদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা বলেই অভিযোগ পরিবারের।
এদিকে, ভোটার তালিকায় নাম থাকায় পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত। যদিও বিজেপির অভিযোগ এই ঘটনাকে অযথা রাজনৈতিক রঙ দিচ্ছে শাসক দল। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে।

