রায়গঞ্জকান্ডে আর কোন শিক্ষককে গ্রেফতার না করতে নির্দেশ প্রশাসনের,বিকাশের সওয়াল জামিন পেলেন শিক্ষকরা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ বিশিষ্ট বাম নেতা,কলকাতা পুরসভার প্রাক্তণ মেয়র ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়ালে শেষ পর্যন্ত রায়গঞ্জ কান্ডে গ্রেফতার এবং গ্রেফতারের সম্ভাবনা ছিল এমন শিক্ষকরা জমিন পেয়েছেন। উল্লেখ্য,পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন রাহাতপুর হাইমাদ্রসার ইংরেজির শিক্ষক রাজকুমার রায় প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন,সেখানে ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি নিখোঁজ হয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে। পরে রায়গঞ্জ ষ্টেশনের কাছ থেকে পরের দিন তাঁর ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়। এই বিষয়টি সামনে আসার পর বাংলার শিক্ষক সমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেই ক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে রায়গঞ্জ এসডিও অফিসে। অভিযোগ ওঠে রায়গঞ্জ এসডিও অফিসে বিক্ষোভ চলাকালিন সময়ে এসডিওকে জুতো দিয়ে মারে বিক্ষোভকারী শিক্ষকরা। পরবর্তীতে এসডিও-র অভিযোগের ভিত্তিতে হেনস্থাকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। মামলা শুরুর পরেই পুলিশ সক্রিয় হয়ে পড়ে,দুই শিক্ষক প্রদীপ কুমার সিনহা ও মনোজ ভৌমিককে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়। এর একদিন পরেই সঞ্জীব দাস নামে আরও একজন শিক্ষককে বাড়ি থেকে রাতের বেলা গ্রেফতার করা হয়। তা নিয়ে আবার রাজ্যজুড়ে শিক্ষকরা মিছিল-মিটিং শুরু করেন। খোদ কলকাতা শহরেও কয়েক হাজার শিক্ষক মিছিল করে রায়গঞ্জ কান্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবি সহ নিঃশর্তে গ্রেফতার হওয়া শিক্ষকদের মুক্তির দাবি করা হয়।
এদিকে রায়গঞ্জের শিক্ষক গ্রেফতার ও মামলা দায়ের হওয়া শিক্ষকদের পক্ষে আদালতে সওয়াল করতে ছুটে যান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সওয়ালে সন্তুষ্ট হয়ে তিনজন শিক্ষককেই জামিন দেওয়া হয়। ১৫২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গেছে , এদের মধ্যে ৭০ জনকে প্রশাসন চিহ্নিত করতে পেরেছে। আর তাঁদেরকে এই মামলাগ্রেফতার করতে চাইছিল পুলিশ। বিশেষ সূত্রে জানা গেছেেআর কোন শিক্ষককে যাতে এই মামলায় গ্রেফতার করা না হয় তার নির্দেশ প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য রাজকুমার রায়ে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের শিক্ষক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।