উন্নাও কান্ড : নির্যাতিতার অবস্থা আরও সংকটজনক , জ্ঞান এখনও ফেরেনি ,ফোনে এখনও হুমকি দিয়ে চলেছে অভিযুক্ত দাবি নির্যাতিতার পরিবারের
বাংলার জনরব ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের উন্নাও-র গণধর্ষিতা এখনও সঙ্কট মুক্ত নন । ‘দুর্ঘটনা’র পর ৪০ ঘণ্টা কেটে গেছে। লখনউয়ের কিং জর্জসমেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে আপাতত ভর্তি তিনি। সেখানেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা না কাটলে কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই ‘দুর্ঘটনা’য় মাথা এবং পায়েও চোট পান নির্যাতিতা। তবে গুরুতর চোট পান পাঁজরে। তাতে তাঁর ফুসফুসে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যে কারণে শ্বাস নিতে পারছিলেন না তিনি। ভেন্টিলেশনে রাখার পাশাপাশি তাঁর ফুসফুস সক্রিয় রাখতে শরীরে বেশ কিছু নল ঢোকানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি নির্যাতিতা ওই তরুণীর। রক্তচাপও ওঠানামা করছে।
রবিবার রায়বরেলীর জেলে কাকার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় উল্টো দিক থেকে ছুটে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা মারে নির্যাতিতাদের গাড়িতে। নির্যাতিতা ছাড়াও গাড়িতে সেইসময় ছিলেন তাঁর দুই কাকিমা ও পারিবারিক আইনজীবী মহেন্দ্র সিংহ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দুই মহিলার। নির্যাতিতার পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি মহেন্দ্র সিংহ। তাঁর অবস্থাও সঙ্কটজনক।
উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন, এই ঘটনায় তাঁর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। ইতিমধ্যেই কুলদীপ সেঙ্গার, তাঁর ভাই এবং বেশ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে খুন এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে নির্যাতিতার পরিবার। জেলের মধ্য থেকে তিনি লাগাতার হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতার মা ও কাকা।
নির্যাতিতার মায়ের কথায়, ‘‘কুলদীপ সেঙ্গার এবং তাঁর সহযোগীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলের মধ্যেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন উনি। নিজে জেলে রয়েছেন বটে, কিন্তু ওঁর লোকজন বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে । সকলে মিলে লাগাতার হুমকি দিচ্ছিলেন আমাদের।’’‘দুর্ঘটনা’য় নিহত স্ত্রীর শেষকৃত্যের জন্য এক দিনের প্যারোলে রায়বরেলী জেল থেকে বেরিয়েছেন নির্যাতিতার কাকা মহেশ সিংহ।