কলকাতা 

কলকাতার নামী আর একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা ; বিদ্যালয়ের কর্মীদের তৎপরতায় উদ্ধার

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের ছাত্রী কৃত্তিকার আত্মহত্যার রহস্য উন্মোচিত হতে না হতেই আরও একটি অভিজাত বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল । বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রূত হস্তক্ষেপ করায় বেচেঁ গেছে ছাত্রীটি ।

নামী ইংরেজি মাধ্যমের দশম শ্রেণির ছাত্রী শৌচাগারে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিল । ব্লেড নিয়ে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুলের শৌচালয়ে পৌঁছেও গিয়েছিল। এমনকি বাঁ হাতে ক্ষতও করে ফেলেছিল সে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় ওই ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দাবি, বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রেও কৃত্তিকার মতো কারও প্রতি মনের ভিতরে জমে থাকা ক্ষোভ এবং অবহেলার কারণেই ওই ছাত্রী এমনটা ঘটানোর চেষ্টা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

ওই স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ক্লাস শেষ হওয়ার পর দুপুর ৩টে নাগাদ শৌচাগারে যায় ওই ছাত্রী। শৌচালয়ের বাইরে বসানো ছিল সিসি ক্যামেরা। স্কুলের কর্মীরা ক্যামেরার সেই  ছবির উপর নজর রাখছিলেন। ৫-৬ মিনিট হয়ে গেলেও সে শৌচাগার থেকে না বেরোনোয় অশিক্ষক কর্মীরা বাইরে থেকে ডাকাডাকি শুরু করেন। সাড়া না মেলায় শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় তাকে।

হাতে গভীর ক্ষত না হওয়ায় স্কুলেই প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় তার। শিক্ষিকারা তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, সে এ রকম করল? জবাবে সে বলে, “সবাই কাজে ব্যস্ত। আমাকে কেউ ভালবাসে না। আমার জন্য কারও সময় নেই।” এমনিতে স্কুলে বেশ হাসিখুশিই থাকে ওই ছাত্রী। এমনটাই জানাচ্ছেন তার শিক্ষিকারা। সে যে অবসাদে ভুগছে, তেমন কোনও আঁচ পায়নি স্কুলের কেউই।

এই ঘটনার পর ছাত্রীর বাবাকে ফোন করা হয়। তিনি কর্মসূত্রে শহরের বাইরে ছিলেন। ছাত্রীর মা-ও কাজ করেন। পরে তিনি স্কুলে আসেন। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে অবসাদে ভুগছিল ছাত্রীটি। তাকে চিকিৎসকও দেখানো হয়। তবে বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতেন না।

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

5 × 5 =