কলকাতা 

৩৫ শতাংশ বুথে তৃণমূলের বিএলএদের নাম রেজিস্ট্রেশন করেনি কমিশন, আন্দোলনের পথে শাসক দল

শেয়ার করুন

দলের তরফে ১০০ শতাংশ বুথে প্রতিনিধিদের তালিকা জমা দেওয়া সত্ত্বেও এসআইআর প্রক্রিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৫ শতাংশ বিএলএ-র নাম কেন এখনও নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত করা হল না? আর এই নাম যদি শেষ পর্যন্ত নথিভুক্ত না হয়, তবে ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর যখন ‘ভেরিফিকেশন’ শুরু হবে, তখন তো ওই ৩৫ শতাংশ বুথে কমিশন বা বিরোধীদের ভুয়ো দাবিকে তথ্য দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষেত্রে জোড়াফুলের কেউই থাকবে না। প্রশ্ন উঠেছে, দলের তরফে ১০০ শতাংশ বুথেই বিএলএ-নাম ৩৫% বুথে তৃণমূলের জমা দেওয়া সত্ত্বেও বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে পরিকল্পিত চক্রান্ত করেই কি মাত্র ৬৫ শতাংশের নাম রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে বাকি ৩৫ শতাংশকে বাদ দিল? নাকি, দলের একাংশের গাফিলতিতেই সমস্ত জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ‘বিএলএ-২ অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ দেওয়া সত্ত্বেও এখনও নির্বাচন কমিশনের কাছে নাম নথিভুক্ত করা হয়নি?

সূত্রের খবর, ১০০ শতাংশ বুথেই নির্দিষ্ট নাম দিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার বিলি সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনে এখনও ৩৫ শতাংশ বুথে দলীয় বিএলএ-দের নাম রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার খবর পেয়েই রবিবার থেকেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। সোমবার সাংগঠনিক ভারচুয়াল বৈঠকেও স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে সুনির্দিষ্ট বার্তা দিতে পারেন বলে খবর। কারণ, আগামী ৯ ডিসেম্বর এসআইআর প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে কমিশনের তরফে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরই বুথে বুথে ভোটারদের নাম বাদ পড়া ও সংযোজন নিয়ে আসল লড়াই শুরু হবে। ওই ৩৫ শতাংশ বুথে যদি তৃণমূলের বিএলএ-র নাম ও ছবি কমিশনে নথিভুক্ত না থাকে তবে খসড়া তালিকা প্রকাশের পর চ্যালেঞ্জ জানাতে গেলে পরিচয় ও নামগোত্রহীন রাজনৈতিক প্রতিনিধির দাবি গ্রাহ্যই করা হবে না। সেক্ষেত্রে ‘অ্যাডভান্টেজ’ পেয়ে যাবে নির্বাচন কমিশন তথা কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। আর তখন একতরফাভাবে ইচ্ছামতো নাম বাদ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবে কমিশন। এমনই অভিযোগ তৃণমূলের।

Advertisement

নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, তিন সপ্তাহের বেশি এসআইআর শুরু হয়ে গেলেও রবিবার পর্যন্ত রাজ্যের ৬৫ শতাংশ বুথে তৃণমূল এবং ৫৫ শতাংশ বুথে বিজেপির বিএলএ-দের নাম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, “প্রায় ৮৫ হাজার বুথে অর্থাৎ ১০০ শতাংশ বুথেই জোড়াফুলের বিএলএ-দের নাম জমা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে বুথে পাঁচজন করেও বিএলএ দিতে পারে তৃণমূল। অভিযোগ, পরিকল্পিত চক্রান্ত করেই নিজেদের পোর্টালে এখনও তৃণমূলের ৩৫ শতাংশ বিএলএ-র নাম রেজিস্ট্রেশন করেনি বিজেপির বি-টিম নির্বাচন কমিশন।”

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ