আন্তর্জাতিক 

ইরানে উপর হামলার নিন্দা করে যৌথ বিবৃতি দিল ‘ব্রিক্‌স’, বড় সাফল্য খামেনির

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মহলে ইরানের গুরুত্ব যে বাড়ছে তার আভাস পাওয়া গেল ব্রিকস সম্মেলনে। ইরানে উপর হামলার নিন্দা করে যৌথ বিবৃতি দিল ‘ব্রিক্‌স’। ইসরাইল বা আমেরিকার নামোল্লেখ করা হয়নি বিবৃতিতে। তবে সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, ১৩ জুন থেকে ইরানের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের কথা। বস্তুত, ওই সময়ে প্রথমে ইসরাইল এবং পরে আমেরিকা হামলা চালিয়েছিল ইরানে।

‘ব্রিক্‌স’-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ভারত ছাড়াও রয়েছে দুই শক্তিধর দেশ রাশিয়া এবং চিন। এখন ‘ব্রিক্‌স’-এর বর্ধিত জোটসঙ্গী ইরানও। গত বছরেই ‘ব্রিক্‌স’-এর সঙ্গে যুক্ত হয় তারা। আন্তর্জাতিক এই জোটে তেহরানের অন্তর্ভুক্তির পরে এটিই প্রথম ‘ব্রিক্‌স’ সম্মেলন। ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে আয়োজিত এই সম্মেলনে রবিবার বক্তৃতা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ঘটনাচক্রে, তার কিছু ক্ষণ পরেই এই যৌথ বিবৃতি প্রকাশ্যে আসে।

Advertisement

বিবৃতিতে ‘ব্রিক্‌স’-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি জানিয়েছে, ইরানের উপর হামলায় আন্তর্জাতিক আইন এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ লঙ্ঘিত হয়েছে। ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছে তারা। ওই হামলার পরে পশ্চিম এশিয়ায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ‘ব্রিক্‌স’।

যৌথ বিবৃতিতে ‘ব্রিক্‌স’ এ-ও স্পষ্ট করেছে যে ইরানে ‘শান্তিপূর্ণ’ পারমাণবিক কেন্দ্রে ইচ্ছাকৃত ভাবে হামলা করা হয়েছে বলে মনে করছে তারা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অসামরিক স্থানে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সম্পূর্ণ নজরদারিতে থাকা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে হামলায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।” রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ যাতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে, সেই প্রস্তাবও দিয়েছে ‘ব্রিক্‌স’।

আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স’-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘ব্রিক্‌স’-এ নতুন যুক্ত হওয়া ইরান এই সম্মেলনে নতুন ‘বন্ধু’ খোঁজার চেষ্টা করতে পারে। ‘ব্রিক্‌স’-এর এই যৌথ বিবৃতি কি সেই নতুন বন্ধুত্বের আভাস?


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ