দেশ 

অবসরের বেশ কয়েক মাস পরেও প্রধান বিচারপতির বাসভবন ছাড়েননি চন্দ্রচূড়! বাড়ি খালি করাতে কেন্দ্রকে চিঠি সুপ্রিম কোর্টের

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : অবসর নিয়েছেন বেশ কয়েক মাস আগে তার পরেও সরকারি বাসভবন ছাড়েননি দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়! বাড়ি খালি করার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে পাঠানো চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে বাড়িটি খালি করার আর্জি জানানো হয়েছে।

দিল্লির ৫ নম্বর কৃষ্ণ মেনন মার্গে ‘টাইপ এইট’ বাংলোটি দেশের প্রধান বিচারপতিদের জন্য নির্দিষ্ট। তবে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের দুই উত্তরসূরি, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বর্তমান প্রধান বিচারপতি বিআর গবই এই বাসভবনে থাকেননি। তাঁরা তাঁদের পুরনো বাংলোতেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরগ্রহণ করেছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তার পর থেকে প্রধান বিচারপতির জন্য নির্দিষ্ট ওই সরকারি বাসভবনেই রয়েছেন তিনি।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের তরফে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে দেশের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি খন্নাকে চিঠি লিখে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কৃষ্ণ মেনন মার্গের বাসভবনে থেকে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর জন্য তুঘলক রোডের ১৪ নম্বর বাংলোটি নির্ধারিত করা হলেও দিল্লির দূষণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জন্য সেটিতে মেরামতির কাজ থমকে রয়েছে। আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছিল, প্রতি মাসে ৫,৪৩০ টাকা লাইসেন্স ফি দিয়ে সেখানে থাকতে পারবেন চন্দ্রচূড়। তবে তার পরেও প্রধান বিচারপতি খন্নার কাছে ৩১ মে অবধি ওই বাংলোয় থেকে যাওয়ার মৌখিক আর্জি জানান প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সেই সময়সীমাও ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের রুল ৩বি বিধি অনুযায়ী, অবসরগ্রহণের পর কোনও বিচারপতি ‘টাইপ সেভেন’ পর্যায়ের বাংলোয় ছ’মাস পর্যন্ত থাকতে পারেন। কিন্তু বিচারপতি চন্দ্রচূড় বর্তমানে আরও উন্নত ‘টাইপ এইট’ বাংলোয় রয়েছেন। তা ছাড়া ছ’মাসের সময়সীমাও অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, তাঁর দুই কন্যা নানা রোগে আক্রান্ত। দিল্লি এমসে তাদের চিকিৎসার জন্যই তিনি ওই বাংলোয় রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং আধিকারিকদেরও জানিয়েছেন বলে দাবি বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের। তিনি বলেন, “সরকারের তরফে ভাড়ায় আমার থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কিন্তু বাড়িটিতে মেরামতির কাজ চলছে। কারণ, সেটি দু’বছর বন্ধ ছিল। আমি সুপ্রিম কোর্টকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং স্পষ্ট বলে দিয়েছি যে, বাড়িটি বসবাসযোগ্য হলেই আমি তার পরের দিন সেখানে চলে যাব।”

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ