জেলা 

নিজের কেন্দ্রেই দলীয় কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, পুলিশ নিরব দর্শক অভিযোগ মন্ত্রীর, পুলিশ মন্ত্রী শুনতে পাচ্ছেন?

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হলেন তৃণমূল সরকারের গ্রন্থাগার মন্ত্রী জমিয়েত উলামা হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে যাওয়ার পর তাঁকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। ভাঙচুর চলল মন্ত্রীর গাড়িতেও।

এই ঘটনায় মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমদ হোসেন শেখের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন সিদ্দিকুল্লাহ। তাঁর অভিযোগ, আহমদের মদতে তাঁর অনুগামীরা হামলা চালিয়েছেন। মন্ত্রীর দাবি, তাঁকে খুনের চেষ্টা হয়েছে। তাঁর গাড়িতে থাকা ছ’জন জখম হয়েছেন। তাঁরও হাতে চোট লেগেছে বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। তাঁকে আদতে খুনের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। এ বিষয়ে আহমেদের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

Advertisement

সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মন্তেশ্বরের বিধায়ক। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতিসভার আগে বৃহস্পতিবার সেখানে যান রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী। তাঁর কনভয় মালডাঙা এবং মন্তেশ্বর বাজার এলাকায় পৌঁছোতেই হাতে ঝাঁটা, কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েক জন। তোলা হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। মন্ত্রীকে ‘চিটিংবাজ-ধাপ্পাবাজ’ বলেও আক্রমণ করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। সেই সময়ে ইট-রড-লাঠি দিয়ে হামলা হয় মন্ত্রীর গাড়িতে। কনভয়ে থাকা মোট পাঁচটি গাড়িতে হামলা চলেছে।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সিদ্দিকুল্লাহ গত চার বছর ধরে এলাকার খোঁজখবর রাখেননি। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনও কাজ হয়নি। মালডাঙা ও আশপাশের এলাকার রাস্তাঘাট, পানীয় জল, স্বাস্থ্য পরিষেবায় অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা। এক বিক্ষোভকারীর কথায়, ‘‘একুশে জুলাইয়ের সভা আয়োজনের আগে এলাকার সমস্যাগুলি মেটানো উচিত ছিল। কিন্তু তা না-করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রচারের জন্য এলাকায় আসা মেনে নেওয়া যায় না।’’

মন্ত্রীর অবশ্য দাবি, ‘‘বিক্ষোভকারীরা কেউ স্থানীয় নন। ওঁদের ভাড়া করে আনা হয়েছে।’’ গোটা ঘটনায় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ