কলকাতা 

সব নারীকেই সম্মান করি ঘৃণা করি শুধুমাত্র মহুয়াকে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য কল্যাণের

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : সব নারীকেই তিনি সম্মান জানান তবে একজন নারীকে তিনি ঘৃণা করেন তার নাম মহুয়া মৈত্র। রবিবার সকালে ডিজিটাল আনন্দবাজারকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই কথাটি বলেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি তৃণমূল সাংসদ এর নাম করে পাঁচটি তোপ দেগেছেন। শনিবার কসবা কাণ্ডের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন সহপাঠীর যদি সহপাঠিনিকে  ধর্ষণ করে তাহলে নিরাপত্তা দেবে কে?

কসবার ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কল্যাণের এই মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, শনিবার রাতেই তা থেকে দূরত্ব তৈরি করে নিয়েছে দল। জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের মন্তব্যকে তৃণমূল সমর্থন করে না। কিন্তু তাতে আইনজীবী সাংসদকে দমানো যায়নি। রাতেই তিনি জোর গলায় বলেছেন, ‘‘হাজার বার বলব।’’ কল্যাণ এবং বিধায়ক মদন মিত্রের বক্তব্যের সমালোচনা করে তৃণমূল যে পোস্ট করেছিল, মহুয়া তার সূত্র ধরেই দুই নেতাকে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন ‘নারীবিদ্বেষী’। তাঁর সেই কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে কল্যাণ সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি মহুয়াকে ঘৃণা করেন। কেন করেন? পাঁচটি কারণ দেখালেন।

Advertisement

মহুয়া কারও নাম করেননি। কল্যাণ এবং মদনকে নিয়ে তৃণমূলের পোস্টটি শেয়ার করে রাতে নিজের সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘ভারতে নারীবিদ্বেষ দলের গণ্ডিতে আটকে নেই। কিন্তু তৃণমূলকে অন্যদের থেকে আলাদা করে একটাই বিষয়, আমরা এই ধরনের বিরক্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করি, তা সে যে-ই করুন না কেন।’’ এ নিয়ে কল্যাণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। শুনেই তিনি বলে ওঠেন, ‘‘দেড় মাসের হানিমুন শেষ করে দেশে ফিরেই কি ওঁর আমার পিছনে লাগা শুরু হল? আমি সব নারীকে সম্মান করি, কিন্তু মহুয়া মৈত্রকে ঘৃণা করি। যাঁকে পার্লামেন্টের এথিক্স কমিটি বহিষ্কার করে, তাঁকে ঘৃণাই করি।’’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি বার্লিনের প্রাসাদে পুরীর প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্রের সঙ্গে বিয়ে সেরেছেন মহুয়া। সূত্রের খবর, তার জন্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে বেশ কিছু দিনের ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। কল্যাণ সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।

‘নারীবিদ্বেষ’ অভিযোগ শুনে মহুয়ার বিবাহের সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করেন কল্যাণ। বলেন, ‘‘আমি নারীবিদ্বেষী? আপনি এক মহিলার ৪০ বছরের বিবাহিত জীবন নষ্ট করে, তাঁকে কষ্ট দিয়ে সেই পুরুষকে বিয়ে করেছেন। আমি নারীবিদ্বেষী?’’ মহুয়া নিজের কেন্দ্রে অন্য কোনও মহিলা নেত্রীকে ‘উঠতে’ দেন না বলেও দাবি করেছেন কল্যাণ। এখানেই শেষ নয়, তাঁর দাবি, ২০১১ সালে এক বর্ষীয়ান মহিলা সাংসদের লোকসভার অন্তর্গত একটি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মহুয়াকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই মহিলা সাংসদ দিদিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি মহুয়ার দায়িত্ব নিতে পারবেন না। কল্যাণ জানিয়েছেন, উপনির্বাচনের প্রচারের জন্য তাঁকে কালীগঞ্জে যেতে বলেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেখানেই বাধা দেন মহুয়া। শ্রীরামপুরের সাংসদের কথায়, ‘‘কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে দিদি আমাকে প্রচারে যেতে বলেছিলেন। উনি আইপ্যাককে বলে আমার যাওয়া আটকে দেন। এত কিসের ভয়?’’


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ