বীরভূমের শত শত তৃণমূল কর্মী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল, অনুব্রত হাল ছেড়ে দেওয়ায় এই বিপর্যয়?
বিশেষ প্রতিনিধি : বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক ভাঙ্গন। জেলার সভাপতিির পদ থেকে অনুব্রত মণ্ডল কে আনুষ্ঠানিকভাবে সরিয়ে দেওয়ার পর এই ভাঙ্গন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। অনেকে মনে করছে অনুব্রত মণ্ডলের গোষ্ঠীর একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বিজেপির নেতাদের গোপন সমঝোতা ছিল। যদিও এটা ঠিক গত লোকসভা নির্বাচনে অনুব্রত মণ্ডল কে বাদ রেখে বীরভূম জেলায় একাধিপত্ব রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তৃণমূল কংগ্রেসের শতাধিক কর্মী দলত্যাগ করায় চাপে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মনে করা হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছে।
রামপুরহাটের পর সোমবার অনুব্রত মণ্ডলের ( Anubrata Mondal )ডাকে মিছিল হল বোলপুরে ( Bolpur )। তবে সেখানেও তৃণমূলের ঐক্যের ছবিটা ধরা পড়ল না। মিছিলের প্রথমে হুডখোলা গাড়িতে রইলেন অনুব্রত মণ্ডল। পিছনের গাড়িতে রইলেন কাজল শেখ-সহ বাকিরা। মিছিল শেষে তৈরি করা মঞ্চেও উঠলেন না বীরভূমের সদ্য প্রাক্তন জেলা সভাপতি। এরই মধ্যে বীরভূমে দেখা গেল তৃণমূলে (TMC )ভয়ঙ্কর ভাঙন।
মঙ্গলবার আবার অনুব্রত মণ্ডলের ডাকে সিউড়িতে মহামিছিল রয়েছে। এদিকে রবিবার রামপুরহাটে অনুব্রত মণ্ডলের মিছিলের পরে বেশ কয়েকটি পরিবার যোগদান করল বিজেপিতে । অনুব্রত মণ্ডলকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানোর পর এই নিয়ে তিন বার তৃণমূল থেকে বিজেপি যোগ দিন ২৫০ টি পরিবার।
বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে গত সপ্তাহই জেলায় জেলায় বড় বদল করেছে তৃণমূল। উল্লেখযোগ্যভাবে বীরভূমের জেলা সভাপতি পদ শূন্য রেখে কোর কমিটিতেই আস্থা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। চেয়ারম্যান রাখা হয়েছে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বীরভূমে ৯জনের কোর কমিটিতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে তিনি আর জেলা সভাপতি নেই।
অনুব্রত মণ্ডলকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানোর পর এই তিন বার তৃণমূল থেকে বিজেপি যোগ দিল ২৫০ টি পরিবার। সোমবার বীরভূমের নলহাটি বিধানসভার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৫৫ টি পরিবারের ২৭০ জন মানুষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে বলে বিজেপির দাবি। বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা তাদের হাতে দলীয় পতকা তুলে দেন।
অনুব্রত জেলা সভাপতির পদ হারানোর পর, গত রবিবার বীরভূমে কোর কমিটির বৈঠক বসে। তা ডাকেন জেলায় দলের চেয়ারপার্সন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হাজির ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলও। বৈঠক শেষে মিলেমিশে কাজ করার বার্তাও দিয়েছিলেন জেলার নেতারা।