কলকাতা 

ফের পিছিয়ে গেল ডি এ মামলার শুনানি! ১৮ বার পিছলো, পরবর্তী শুনানি কবে ?

শেয়ার করুন

বুধবারও সুপ্রিম কোর্টে  পিছিয়ে গেল ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলার শুনানি। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ১৮ বার পিছিয়ে গেল ডি এ মামলার শুনানি।শেষ বার এই শুনানি হয়েছিল ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর।

সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গের ডিএ মামলাটি তালিকাভুক্ত ছিল বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে। গত ১১ মে এজলাস বদল করে ওই মামলা পাঠানো হয় বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। সেখানেই বুধবার শুনানির কথা ছিল। কিন্তু নতুন বেঞ্চের তালিকায় মামলাটি ছিল ৪০ নম্বরে। ফলে বুধবার শুনানি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিলই। সেই জল্পনা সত্যি করে শুনানি আবার পিছিয়ে গেল। আগামী শুক্রবার শীর্ষ আদালতে ডিএ মামলার শুনানি হতে পারে।

Advertisement

২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম বার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। আদালত জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। সময় নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। তবে সময়ের অভাবে মামলাটির পূর্ণাঙ্গ শুনানি আর হয়ে ওঠেনি। কখনও রাজ্য সরকারের আইনজীবীর অনুরোধে, কখনও অন্য কোনও কারণে আড়াই বছর ধরে বার বার পিছিয়েছে ডিএ শুনানি। তবে বুধবারের শুনানি নিয়ে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন। আবার তা পিছোল।

কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। কিন্তু হাই কোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। প্রথম শুনানি হয় সে বছরের ২৮ নভেম্বর। সেই থেকে মামলাটি বিচারাধীন। তবে এই মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থাতেই কয়েক দফায় ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা কেন্দ্রীয় হারের সমতুল্য হয়নি।

রাজ্যের হয়ে এই মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এ ছাড়া, সরকারি কর্মীদের একাংশের তরফে রয়েছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বুধবার বিকাশরঞ্জন বলেন, ‘‘আজ ২টোর সময় ডিএ মামলার শুনানি ছিল। আমরা সকলে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আদালতে কিছু অসুবিধা থাকার কারণে শুনানি হল না। আমাদের অনুরোধে আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি স্থির করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আর তারিখ বদল হবে না। আমরা আশা করতে পারি, শুক্রবার এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে। বার বার এই মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় আন্দোলনের নেতাদের উপর চাপ পড়ছে। আমাদেরও খুব অসুবিধা হচ্ছে।’’


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ