দেশ 

কেন হামলা কোথায় হামলা তার ব্যাখ্যা দিলেন দুই সেনা আধিকারিক সোফিয়া কুরেশি ও ব্যোমিকা সিংহ

শেয়ার করুন

কথামতো বুধবার গভীর রাতে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর ভারতীয় সেনার দুই প্রথম সারির আধিকারিক আজ বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন দিল্লিতে। একজন হলে সোফিয়া কুরেশি অন্যজন ব্যোমিকা সিংহ।তাঁরা বলেন, ‘‘এখনও কোনও সাধারণ নাগরিকের ক্ষতি করা হয়নি। নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বিল্ডিংয়ে হামলা হয়েছে। সেনাঘাঁটিতে কোনও হামলা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে ওই ভবনগুলি ভাঙা হয়েছে।’’

ব্যোমিকা, সোফিয়ারা জানান, পাকিস্তানের ভিতরে শিয়ালকোটের সার্জাল ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমা থেকে তা ছ’কিলোমিটার দূরে। এ ছাড়া হামলা হয়েছে মেহমুনা জোয়া ক্যাম্পে। সেখানে হিজ়বুলের ক্যাম্প ছিল। পঠানকোটে এখান থেকেই হামলা চালানো হয়। মুরিদকের মারকাজ় তৈবায় হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। ২৬/১১ মুম্বই হামলার জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এখান থেকেই। আজ়মল কসাবও উঠে আসেন এখান থেকেই।

Advertisement

কোথায় কোথায় কেন হামলা চালানো হয়েছে, তালিকা দেন ব্যোমিকা, সোফিয়ারা। তাঁদের তালিকা অনুযায়ী, প্রথম নিশানা ছিল শুভান আল্লাহ মসজিদ, সেখানে লশকর-এ-ত্যায়বার ঘাঁটি এবং প্রশিক্ষণকেন্দ্র রয়েছে। বিলাল মসজিদে ছিল জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র। কোটলিতে যে মসজিদে হামলা হয়েছে, তা লশকরের ঘাঁটি। এই ঘাঁটি পুঞ্চে সক্রিয়। এগুলি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে রয়েছে।

কর্নেল সোফিয়া, উইং কমান্ডার ব্যোমিকারা জানাচ্ছেন কী ভাবে পাকিস্তানে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁরা বলেন, ‘‘পাকিস্তানে মোট ন’টি ঘাঁটিকে নিশানা করা হয়েছে। সেগুলিকে পুরো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে।’’

বিক্রম বলেন, ‘‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়। জেনেশুনে সেই দেশে লুকিয়ে রাখা হয় সন্ত্রাসবাদীদের। পহেলগাঁওয়ের হামলার পর দেশের নানা প্রান্তে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই তার পর ভারত সরকার কিছু পদক্ষেপ করে। কিন্তু তার পরেও পহেলগাঁওয়ের ঘটনার জন্য ন্যায়বিচার আবশ্যক ছিল। ওই ঘটনার পরেও পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। উল্টে ঘটনার সঙ্গে যোগাযোগ অস্বীকার করছে। আমাদের কাছে খবর ছিল, ভারতের বিরুদ্ধে আগামী দিনেও হামলা হতে পারে। তাই এই প্রত্যাঘাত আবশ্যক ছিল। ভারত নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করেছে জবাব দিতে। সন্ত্রাসবাদের কাঠামোকে ধ্বংস করতেই এই হামলা। রাষ্ট্রপুঞ্জ গত ২৫ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের হামলার নিন্দা করে বলেছিল ন্যায়বিচার দরকার। ভারতের প্রত্যাঘাত তার ভিত্তিতেই।’’

 

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ