মুঘল সম্রাটের বংশধর লাল কেল্লার মালিকানা আমাকে দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে মামলা এক মহিলার, শেষ পর্যন্ত শীর্ষ আদালত কী বলল?
বাংলার জনরব ডেস্ক : মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জ়াফরের বংশধরের গৃহ বধু দাবি করে দিল্লির লালকেল্লা মালিকানা তাকে দিতে হবে এই আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন সুলতানা বেগম নামে এক মহিলা। তিনি নিজেকে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জ়াফরের প্রপৌত্রের বিধবা স্ত্রী বলে দাবি করেন। তাই ওই বংশাধিকার বলে লাল কেল্লাকে তাঁর সম্মত্তি বলে ঘোষণা করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। যদিও ওই মামলা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে সোমবার মামলাটি ওঠে। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, সুলতানার ওই আবেদন একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, শুধু লাল কেল্লাই কেন চাই? ফতেপুর সিক্রি কেন নয়, সেটাই বা বাদ দেওয়া হল কেন? এ কথা জানিয়ে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেটি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বস্তুত, এই মামলাটি আগে দিল্লি হাই কোর্টে উঠেছিল। প্রথমে একক বেঞ্চে, পরে ডিভিশন বেঞ্চে। একক বেঞ্চে মামলাটি অনেক আগেই খারিজ হয়ে গিয়েছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে হাই কোর্টেও বিচারপতি বিভু বখরু এবং বিচারপতি তুষাররাও গেদেলার বেঞ্চেও মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। সেই সময় ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, একক বেঞ্চে মামলাটি খারিজ হওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে দেরি হওয়ার কারণে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। একক বেঞ্চে খারিজ হওয়ার প্রায় আড়াই বছর পরে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন সুলতানা। এই বিলম্বের কারণে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ।