পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ওয়াকফ সম্পত্তি ও বোর্ডে কোন পরিবর্তন করা যাবে না নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, ৫ই মে পরবর্তী শুনানি
বাংলার জনরব ডেস্ক : আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে কোন অন্তর্বর্তী নির্দেশিকা সুপ্রিম কোর্ট না দিলেও কিন্তু স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে ঘোষিত ওয়াকাপ সম্পত্তিতে কোন বদল করা যাবে না। একইসঙ্গে বলে দিয়েছে ওয়াকফ বোর্ডে কোন নিয়োগ নয়। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী পাঁচই মে সেদিনই বিশেষ কোনো নির্দেশিকা সুপ্রিম কোর্ট জারি করতে পারে এই আইন নিয়ে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ১৯৯৫ সালের আইনে নথিভুক্ত ওয়াকফ সম্পত্তিতে কোনও বদল ঘটানো যাবে না। পাশাপাশি, নিয়োগ করা যাবে না ওয়াকফ বোর্ড বা পর্ষদেও।

নতুন ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এ নিয়ে কেন্দ্রকে সাত দিনের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলল শীর্ষ আদালত।
‘ওয়াকফে নিয়োগ নয়’
পরবর্তী শুনানির পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড এবং পর্ষদে নিয়োগ করা যাবে না। নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। নির্দিষ্ট সময়মতো বৃহস্পতিবার বেলা দুটোর সময় সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় দিনের জন্য সংশোধিত ওয়াকফ আইনের ওপর শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে প্রথমেই বলতে ওঠেন সলিশিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
তিনি জানান, কেন্দ্রের কাছে প্রচুর তথ্য জমা পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বহু জমি ওয়াকফ জমি হিসাবে নথিভুক্ত রয়েছে। নিজেদের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বহু মানুষের মনে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময় চায় কেন্দ্র। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নতুন ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে জবাব দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর পরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা আগেই বলেছি, এই আইনে কিছু ভাল দিক অবশ্যই রয়েছে। এই পুরোপুরি স্থগিত করে দেওয়ার কথা কখনওই বলা হয়নি। কিন্তু আমরা চাই না, এখন যা পরিস্থিতি, তা বদলে যাক। বিষয়টি এখনও আদালতে বিচারাধীন। পরিস্থিতি যাতে না বদলায়, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’’
মামলাকারীদেরও উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, পাঁচটি পিটিশন বাছাই করা হোক। ওই পাঁচটি পিটিশনকে প্রধান পিটিশন হিসাবে গণ্য করে শুনানি হবে।