মুর্শিদাবাদের পর এবার ভাঙড় ! পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর বাইকে অগ্নিসংযোগ অভিযোগের তীর আইএসএফ কর্মীদের দিকে
বিশেষ প্রতিনিধি : সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর জমিয়েতে উলামায়ে হিন্দের পর এবার শক্তি পরীক্ষায় মাঠে নেমেছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। একটিমাত্র বিধায়ক নিয়ে তারা যেভাবে হুংকার দেয় তাতে মনে হয় তাদের বিধায়ক এবার পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবে। রাজনীতির অ-আ-ক-খ জ্ঞান না থাকা ওই ব্যক্তির পক্ষে যে এই ধরনের সভা সমাবেশ ডাকার আগে অনেকটাই চিন্তাভাবনা করা উচিত ছিল তা যে করা হয়নি আজকের ঘটনা তার প্রমাণ।। সোমবার 14 এপ্রিল বি আর আম্বেদকারের জন্মদিনে ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে নওশাদ সিদ্দিকী ডাকে কলকাতার রামলীলা ময়দানে সভার আয়োজন করা হয়।
এই সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট এর তরুণ তাজা নেতারা রাস্তায় প্রচন্ড পরিমানে পুলিশকে হেনস্তা এবং নানাভাবে বিরূপ মন্তব্য করতে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাসন্তী হাইওয়ে গার্ড রেল দিয়ে সভায় আসা গাড়িগুলোকে পাস করার চেষ্টা করে কলকাতা পুলিশের একটি দল। সেখানে অভিযোগ করা হয় পুলিশ নাকি তাদের কে বাধা দিয়েছে এই অভিযোগ করে পথ অবরোধ শুরু করে দেয় ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট এর কর্মীরা।
আইএসএফ কর্মীদের দাবি, তাঁরা সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেখানে ভাঙড়, মিনাখাঁ এবং সন্দেশখালির আইএসএফ কর্মী-সমর্থকেরা ছিলেন। কিন্তু বাসন্তী হাইওয়ের উপর বৈরামপুরের কাছে তাঁদের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তা অবরোধ করেন আইএসএফ কর্মীরা। তা নিয়েই সোমবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙড়ের শোনপুরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশের অন্তত পাঁচটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইট মেরে ভাঙা হয়েছে কলকাতা পুলিশের গাড়ির কাচ। ভাঙচুর চালানো হয়েছে পুলিশের প্রিজ়ন ভ্যানেও। ভাঙচুরের পর সেটি রাস্তায় উল্টে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সকালে ভাঙড়ের ভোজেরহাটে তিন রাস্তার মোড় গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দিয়েছিল পুলিশ। বাধা পেয়ে সেখানে বিক্ষোভ দেখান আইএসএফ কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। গার্ডরেল ভাঙার চেষ্টা করেন তাঁরা। এর পর সেখানেই পথ অবরোধ করা শুরু করেন আইএসএফ কর্মীরা।
অবরোধের জেরে কলকাতা-দক্ষিণ ২৪ পরগনা সংযোগকারী বাসন্তী হাইওয়েতে যানজট তৈরি হয়। পুলিশের তরফে মাইকিং করে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা সরেননি। উল্টে সময় যত এগিয়েছে, তত তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি।
ফুরফুরা শরীফের এই পীরজাদার প্রথম লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য থাকা উচিত ছিল কোন রকম অশান্তি না করে সমাবেশকে সফল করা একজন যোগ্য দূরদর্শী সম্পূর্ণ রাজনীতিবিদের এটাই প্রথম এবং প্রধান কাম্য হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। মুর্শিদাবাদের ঘটনার পর আই এস এফ কর্মীদের অনেকটাই সংযত হওয়া উচিত ছিল কারণ মনে রাখতে হবে এই ঘটনায় আর যাই হোক প্রচারের আলোয় থাকবে বিজেপি সুবিধা হবে গেরুয়া শিবিরের। নওশাদ সিদ্দিকী কি এই রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই আজকে তার কর্মীরা তান্ডব চালালেন সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন!