কলকাতা 

লাগাতর ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে, অশান্তির সঙ্গে যুক্ত কাউকে ছাড়া হবে না জানালেন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : দাঙ্গা কারীদের কাউকে রেহাই দেয়া হবে না সে যেকোনো রাজনৈতিক দলের লোক হতে পারে কিংবা কোন ধর্মীয় সংগঠনের লোক হতে পারে মুর্শিদাবাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার দাঙ্গার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কোনভাবেই রেহাই করা হবে না। প্রয়োজন হলেই পাতাল থেকে খুঁজে এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে সোমবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানালেন এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। এদিন তিনি জানান গত ৩৬ ঘন্টায় মুশিদাবাদের ধুলিয়ান সুতি ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোন অশান্তি হয়নি। ফলে ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি এও বলেন মানুষ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও গুজবের ফলে ভয় পাচ্ছে। সাধারণ নাগরিকরা এই গুজবে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে তাই এ বিষয়ে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে কড়া পদক্ষেপ নেবেন বলে তিনি দাবি করেন।

উল্লেখ্য গত শুক্রবার ওয়াকাপ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় যে মিছিল হয়েছিল সুতি ধুলিয়ান সামসেরগঞ্জ ওমরপুরে সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে পরবর্তীকালে তা সাম্প্রদায়িক হিংসায় পরিণত হয়। দুদিন ধরে বিএসএফ মোতায়েন থাকার পর পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আধা সামরিক বাহিনী এলাকার দখল নেয়।

Advertisement

ওয়াকফ-অশান্তির জেরে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য ইতিমধ্যে ২০০-র বেশি জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাড়ছে এফআইআরের সংখ্যাও। এমনটাই জানিয়ে রাজ্য পুলিশ। এডিজি আইনশৃঙ্খলার স্পষ্ট বক্তব্য, যারা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যে যে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের প্রত্যেককে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। পুলিশ সেই মতোই তদন্ত করছে। জাভেদ শামিমের কথায়, ”কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য হোক, কোনও সংগঠনের হোক, আমরা দেখব না। যারা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের সকলকে শাস্তি দেওয়া হবে। দরকারে পাতাল থেকে খুঁজে বের করে আনব দোষীদের। কিন্তু শাস্তি দেবই।”

সোমবার রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার সম্পূর্ণ চেষ্টা হচ্ছে। আগের থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও এসেছে। ইতিমধ্যে ১৯ জন তাদের বাড়িতে ফিরেও গেছেন। বাকি যারা এখনও ঘরছাড়া তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।

জেলায় হিংসা রুখতে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল, তাও আবার চালু করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা দিয়েছেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা। কারণ তিনি মনে করছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকেই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে অশান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন। জাভেদ শামিমের কথায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মানসিকভাবে মানুষ স্বাভাবিক হতে পারছেন না ভুল খবরের জন্য। লাগাতার ভুয়ো ছড়ানোর চেষ্টা করছে একদল। সেগুলি বিশ্বাস করে মানুষ আরও বিপদে পড়ছেন। যারা এই ধরনের কাজ করছেন তাদেরকেও কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

পুলিশ এও বলছে, নতুন করে যাতে হিংসা না ছড়িয়ে পড়ে ভুয়ো খবর বা তথ্যের জন্য, সেই কারণেই নেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু তা আবার চালু করা হচ্ছে কারণ গত ৩৬ ঘণ্টায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। আর এটাই পুলিশের আপাতত প্রধান লক্ষ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ