কলকাতা জেলা 

ফের অশান্তি মুর্শিদাবাদের সুতিতে! ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করে মিছিল মিটিংয়ে থেকে বারবার অশান্তি হচ্ছে কেন? উত্তর দেওয়া উচিত মুসলিম নেতাদের

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : আবারো অশান্তি এবার মুর্শিদাবাদের সুতি। প্রশ্ন উঠেছে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করে মিছিল মিটিং করলে সেই মিছিল মিটিংয়ে কারা গন্ডগোল করছে এ বিষয়ে এই দেশের এই রাজ্যের মুসলিম নেতৃত্বকে জবাবদিহি করা উচিত বলে আমরা মনে করছি। কারণ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেভাবে মিডিয়া মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করছে তাতে আগামী দিনে এই রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যে আরও বিপন্ন হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। অতএব মুসলিম সমাজকে এক্ষুনি এগিয়ে আসতে হবে, এগিয়ে এসে ব্যাখ্যা দিতে হবে যে এই সকল গন্ডগোলের নেপথ্যে থেকে কারা রয়েছে যদি মিছিল থেকে সত্যিই পুলিশের উপর হামলা হয়ে থাকে তাহলে পুলিশের উচিত যারা অন্যায়কারী তাদেরকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া।

আসলে ঘটনার নেপথ ঠিক কারা রয়েছে তা বিশ্লেষণ হওয়া অবশ্যই জরুরি। একইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রশাসনের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে এই ধরনের মিছিল থেকে যাতে কোন অশান্তি না ছড়ায় সেই ব্যাপারে সতর্ক হওয়া। মনে রাখতে হবে এটা পশ্চিমবাংলা এটা উত্তর প্রদেশ নয়। উত্তরপ্রদেশ হলে সেখানকার সরকার বা প্রশাসনের প্রতি মুসলিমদের স্বাভাবিক বিক্ষোভ থাকতে পারে। এমনকি পুলিশ ও অযাচিতভাবে এই সকল মিছিল গুলোকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। উত্তর প্রদেশে কিন্তু পশ্চিমবাংলায় কি সেটা হচ্ছে এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

Advertisement

মিছিল মিটিং সমাবেশ করার অধিকার দেশের সংবিধান আমাদেরকে দিয়েছে আর সেই মিছিল মিটিংকে সফল করার এবং তার সুরক্ষা দেওয়ার দায়ী এবং দায়িত্ব সরকারের প্রশাসনের। মমতার প্রশাসন বারবার এক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে কেন প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিকভাবে। কেন প্রকৃত হামলাকারী বা দোষীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে কেন সংখ্যালঘু কমিশন এগিয়ে আসছে না।

আজকে মুর্শিদাবাদের সুতির অশান্তি নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েক জন জানাচ্ছেন, অশান্তির সূত্রপাত হয় সুতির সাজুর মোড় এলাকায়। সেখানে একাধিক মিছিল এসে জড়ো হচ্ছিল। আটকে দেওয়া হয় রাস্তা। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটাতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। মিছিলে যোগদানকারী কয়েক জন যুবক ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। পুলিশ বাধা দেয়। তখন পুলিশের উপর ইট-পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ