জেলা 

সম্প্রীতির ঈদ মিলন উৎসব পালিত হলো বাসন্তীর কলতলায়

শেয়ার করুন

হাসিবুর রহমান : ঐতিহাসিক ঈদ মিলন উৎসব পালিত হলো দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার ভাঙ্গন খালীর কলতলা বাজারে। দীর্ঘ ৫১ বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে এই উৎসব । পবিত্র ঈদ উল ফিতরের পরের দিন রাতে পালিত হয় এই ঈদ মিলন উৎসব। এই মিলন উৎসবকে কেন্দ্র করে হিন্দু মুসলিম সবাই একত্রিত হয়। সন্ধ্যা থেকে রাত্রি পর্যন্ত চলে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সামাজিক আলোচনা, সমাজ সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহনের পরেই কবিতা আবৃত্তি, গজল, কেরাত, কুইজ ছোটদেরজন্য শিশুতোষ আবৃতি, কুরআন তেলাওয়াত এবং নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে রেখে ঈদের দিন বেলা ২:০০ টা থেকে পরের দিন বেলা দশটা পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান চলে।

এই অনুষ্ঠানের এবারের থিম ছিল আইফেল টাওয়ার। সাথে একাধিক গেট নির্মাণ বাসন্তী হাইওয়ের উপরে চমক তৈরি করেছে। এই অনুষ্ঠান দেখতে রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে হাজার হাজার মানুষের ভিড় ছিলো চোখে পড়াড় মতো । এই ঈদ মিলন অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক বিশিষ্ট সমাজসেবক মোফাক্কার হোসেন মল্লিকের উদ্যোগে শুরু হয়েছিলো। এই উৎসব দেখতে দেখতে ৫১ বছরে পদার্পণ করে হাজার হাজার মানুষের মিলন ক্ষেত্রে পরিণত হয়ে রাজ্যের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মিলন উৎসবে পরিনত হয়েছে।এই মিলন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মন্ডল, নীলিমা মিস্ত্রি, মন্টু গাজী লোকমান মোল্লা, ডা. বি ভট্টাচার্য্য, নুর এলাহী গাজী ,স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান মিনারা গাজী প্রমুখ।

Advertisement

অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা শিরাজ সরদার বলেন -‘শিক্ষক মোফাক্কার হোসেন মল্লিক তাঁর চিন্তা ছিল ঈদের পরেই ছেলেরা সব সিনেমা হল মুখি হয়। সে দিক থেকে মুখ ফেরাতেই এই ঈদ মিলন উৎসব পালিত হচ্ছে এই এলাকায়। আমরা ওই বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে আজও সহযোগিতা করে আসছি। যতদিন বাঁচবো এই হিন্দু মুসলিমের ঐক্যের ঈদ মিলন আমরা পালন করে যাব। এই অনুষ্ঠানের শুরুতেই কয়েকশো মানুষের বস্ত্র বিতরণ করেন শেষেও উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে মহিলা পুরুষ সহ একাধিক মানুষের বস্ত্র প্রদান করেন।

এদিন সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শেখ নাজির হোসেন।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ