আন্তর্জাতিক 

ফের শুক্রবার রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো মায়ানমার!

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : গতকাল শুক্রবার দুপুরে ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে একের পর এক বহু দল ওই দেশের রাস্তায় পথে ঘাটে সর্বোত্তই ধ্বংসের ছবি। এই ধ্বংসলীলা মধ্যেই শুক্রবার মধ্যরাতে আবার কেঁপে উঠল মায়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।যার প্রভাবে কেঁপে উঠছে ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং হো চি মিন সিটিও। রাতের ভূমিকম্পে আরও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস)এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১:৫৬ মিনিটে মায়ানমারে আবারও একটি ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪.২ । অক্ষাংশ ২২.১৫ উত্তর, দ্রাঘিমাংশ ৯৫.৪১ পূর্ব ) ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে মান্দালয়ের কাছে ৭.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। তার প্রভাবে কেঁপে উঠেছিল থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারতের কিছু অংশও। ব্যাঙ্ককে তো প্রভাব ছিল ভয়ঙ্কর ! কার্যত দুলতে শুরু করে বাড়িগুলি। স্ট্রিট লাইটের স্তম্ভদুলিও তাল গাছের মতো দুলতে শুরু করে। আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বেশির ভাগ মানুষ। কম্পন এতটাই তীব্র ছিল যে, প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে তাইল্যান্ডেও কাঁপতে থাকে হোটেল থেকে একাধিক বিল্ডিং। ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের ওপরে থাকা সুইমিং পুল থেকে কোথাও আবার হুড়মুড় করে নীচে উপচে পড়ে জল ! মায়ানমারে ধর্মীয় উপাসনাগৃহ ভেঙে অন্তত ১৪৪ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে সেদেশের প্রশাসন সূত্রে খবর। পাশাপাশি ভূমিকম্পের পর ব্যাঙ্ককে নিখোঁজ অন্তত ৪৩ জন। মায়ানমার, তাইল্যান্ড, ভারতের পাশাপাশি কম্পন অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ এবং চিনেও।

আন্তর্জাতিক ভূকম্পন কেন্দ্রের মতে, ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর মায়ানমার এবং এর আশেপাশে ৩.০ মাত্রার চেয়ে বেশি বা সমান মাত্রার প্রায় ১৪০টি ভূকম্পের ঘটেছে। সুতরাং, এটা স্পষ্ট যে মায়ানমারের দীর্ঘ উপকূল অঞ্চলগুলি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতেই রয়েছে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ