অন্যান্য কলকাতা 

Welcome Holy Ramadan:স্বাগত মাহে রমজান / নায়ীমুল হক

শেয়ার করুন

   স্বাগত মাহে রমজান

         নায়ীমুল হক

মাহে রমজান বা রমজান মাস সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মানুষের জন্য এক পরম উপহার। এই এক মাসের রোজা নানা গুণের অধিকারী করে তোলে। সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্যশীলতা, একাগ্র চিত্ততা, ত্যাগ, সংযম, ধৈর্য্য, দান-ধ্যান, সাহায্য-সহমর্মিতা, পরিশিলীত জীবনাচরণ, আদর্শ চরিত্র গঠন, নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি মৌলিক গুণের শিক্ষা দেয়।

মাহে রমজান আমাদেরকে দুঃখী জনের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়, সৃষ্টি জগতের প্রতি সহমর্মী, সহযোগী হতে শেখায়। ক্ষুধা-পিপাসার কষ্ট কেমন তার অনুভূতি রোজা রাখার মাধ্যমে অনুভূত হয়। গরীব-মিসকীনদের প্রায় সারা বছর যে কষ্টের যাপন তাও অনেকটা মালুম হয় রোজার মধ্যে। তাই রমজানে তাদের পাশে দাঁড়ানোর অভ্যাস বাকি ১১ মাস চালু রাখলে, সমাজে অসাম্য বা বৈষম্য খানিক দূর হতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।

Advertisement

সেজন্য রমজানের পারস্পরিক স্নেহ-ভালোবাসা, মায়া-মমতা. আন্তরিকতা, দানশীলতা, উদারতা, ক্ষমা, পরোপকারিতার শিক্ষা সব সময়ের জন্য চালু রাখা আবশ্যক।

মাহে রমজান আমাদেরকে পরিমার্জিত জীবনাচরণ ও নিয়মানুবর্তিতার শিক্ষা দেয়। সঠিক সময়ে নিয়ম মেনে সেহরী (বা শেষ রাতের খাবার) গ্রহণ, আবার সময় মতো ইফতার করা, এর ফলে সময়ানুবর্তি হওয়ার মহান শিক্ষা আমরা রমজানকে কেন্দ্র করে পেয়ে থাকি। সেহরী বা ইফতারে যেমন তাড়াহুড়ো নেই ,আবার বিলম্বও ঘটে না। এমন সূক্ষ নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে আমরা রমজানের যে সময়টুকু পার করি, তার কিছুটাও যদি আমরা আমাদের বাকি জীবনে চর্চা করি, তবে আমাদের জীবনচর্যা অন্য মাত্রায় পৌঁছাবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

__________________________

লেখক নায়ীমুল হক


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ