জেলা 

এপিক নম্বর এক, দুই ভোটার আতঙ্কে বাংলার তসলিম

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার পর বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের মেগা বৈঠকের মঞ্চ থেকেও ভোটার তালিকা ‘পরিষ্কারে’র কথা বলেছেন তিনি। তাঁর মুখেই উঠে এসেছে তসলিম মিঞার নাম। তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে নিজের নাম শোনার পরই প্রকাশ্যে আসেন ওই ব্যক্তি। সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের উদ্বেগের কথা জানান।

দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ৪ নম্বর নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তসলিম। মালদহ রেজিস্ট্রি অফিসে চাকরি করেন। তসলিমের দাবি, মাসদুয়েক আগে তিনি জানতে পারেন এপিক নম্বর এক অথচ নাম বদল করে একটি ভোটার কার্ড তৈরি হয়েছে। ওই ভোটার কার্ডে তসলিমের এপিক নম্বর দিয়ে নাম রয়েছে জিগনেশ মাকভানার। জনৈক জিগনেশ আহমেদাবাদের বাসিন্দা। এই বিষয়টি জানতে পেরে বাধ্য হয়ে মহকুমা শাসকের দফতরের যান তসলিম। অবশ্য সেখানে গিয়ে তাঁর সমস্যা সমাধান হয়নি। বিষয়টি তাদের হাতে নেই বলেই নাকি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় তসলিমকে। তাই আপাতত আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁর। কারণ, জিগনেশ যদি কোনও অপরাধ করেন, সেক্ষেত্রে আইনি জটিলতার শিকার হতে পারেন তসলিম। নির্বাচন কমিশন বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুক, চান তসলিম।

Advertisement

উল্লেখ্য, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রথমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূতুড়ে ভোটার তালিকার অভিযোগে সরব হন। নেতাজি ইন্ডোরে গতকাল ফের এই ইস্য়ুতে সুর চড়ান। ভোটার তালিকায় পাঞ্জাব, গুজরাটের লোকেদের নাম বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। ভোটার তালিকা ‘পরিষ্কার’ করতে না পারলে ভোটের কোনও প্রয়োজন থাকবে না বলে দলীয় নেতাদের সতর্ক করেন। সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করেন। ওই কমিটিতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মালা রায়, দেবাংশু ভট্টাচার্য, জগদীশ বসুনিয়া, বাপি হালদার, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমন কাঞ্জিলাল-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা। তথ্য সূত্র : ডিজিটাল সংবাদ প্রতিদিন।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ