নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য দিতে রাজি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, তবে ব্যক্তিকে নয় আদালতে
বাংলার জনরব ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রী দেখাতে রাজি হল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তবে কোন ব্যক্তিকে নয় দিল্লি হাইকোর্টকে দেখাতে চায়।বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টে এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তথ্যের অধিকার আইনে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনার জন্য। মেহতা আদালতে জানান, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের ওই নির্দেশ বাতিল করা উচিত। বৃহস্পতিবারের শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি শচীন দত্ত।
মোদীর ডিগ্রি বিতর্ককে কেন্দ্র করে এই মামলা দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে হাই কোর্টে। নীরজ কুমার নামে এক আরটিআই কর্মী প্রথমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এ বিষয়ে তথ্য জানতে চান। ১৯৭৮ সালের স্নাতক স্তরের সব পড়ুয়ার নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর জানতে চেয়েছিলেন। কে পাশ করেছেন, কে ফেল করেছেন, তা-ও জানতে চান ওই আরটিআই কর্মী। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, তৃতীয় পক্ষের তথ্য এ ভাবে দেওয়া যাবে না। ঘটনাচক্রে, ওই বছরেই স্নাতক হন মোদীও।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানানোয় কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানান নীরজ। তার ভিত্তিতে কমিশন ওই তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেয়। পরে ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মামলার প্রথম শুনানিতেই কমিশনের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত।
বৃহস্পতিবার মেহতা জানান, আদালতের কাছে তথ্য দেখাতে কোনও আপত্তি নেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, ১৯৭৮ সালের কলা বিভাগের একটি ডিগ্রির কথাও উল্লেখ করেন সলিসিটর জেনারেল।
এর আগে গত মাসে মামলার শুনানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মেহতা জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র কারও কৌতূহল মেটানো তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনের লক্ষ্য নয়। তাঁর বক্তব্য ছিল, আরটিআই আইনের ধারা অনুসারে, তথ্য জানানোই এই আইনের উদ্দেশ্য। কিন্তু, কারও ব্যক্তিগত কৌতূহল নিবৃত্তি এই আইনের উদ্দেশ্য নয় বলে জানিয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, একটি বিশ্বাসের জায়গা থেকে পড়ুয়াদের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রাখা থাকে। আইনের মারপ্যাঁচে কোনও অপরিচিত ব্যক্তির কাছে তা প্রকাশ করা যায় না।