ভোটদানের হার বৃদ্ধি করতে এবং ভোটারদের উৎসাহ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভারতের জন্য বরাদ্দ অর্থ বন্ধ করে দিল আমেরিকা
বাংলার জনরব ডেস্ক : ভারতে ভোটদানের হার বৃদ্ধি করতে এবং ভোটারদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমেরিকা যে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করত, এ বার তা বন্ধ হতে চলেছে।
দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসে ঢুকেই সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের মাথায় নিজের ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইলন মাস্ককে বসিয়েছিলেন ট্রাম্প। মাস্কের দফতর রবিবার জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক কাঠামোর উন্নতিতে তারা যে অর্থ বরাদ্দ করত, তা কাটছাঁট করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে ৪৮ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৪২১২ কোটি টাকারও বেশি) ব্যয় করত আমেরিকা। জো বাইডেনের আমলে এই প্রকল্পেই ভারতের জন্য ২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৮২ কোটি টাকারও বেশি) বরাদ্দ করা হয়।
মাস্কের দফতর রবিবার সমাজমাধ্যমে কোন কোন দেশের জন্য আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ হচ্ছে, তার তালিকা তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ২ কোটি ৯০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২৫১ কোটি টাকারও বেশি)-এর অর্থসাহায্য বন্ধ করা হচ্ছে। নেপাল, মালি, সার্বিয়া, কম্বোডিয়ার মতো দেশেও অর্থসাহায্য বন্ধ করা হচ্ছে। মাস্কের দফতর জানিয়েছে, বিদেশের একাধিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য আমেরিকার করদাতাদের দেওয়া অর্থ খরচ করা হবে না।
এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কেউ মুখ না-খুললেও শাসকদল বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালবীয় মার্কিন অনুদানের বিষয়টিকে ভারতের ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ’ বলে দাবি করেছেন। এ ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের কোনও হাত নেই বলে দাবি করে তিনি কংগ্রেসকেই এর জন্য দায়ী করেছেন।