শনিবার রাতে নয়াদিল্লির রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮! কিভাবে ঘটলো এই দুর্ঘটনা? রেল আধিকারিকরা কী বলছেন?
বাংলার জনরব ডেস্ক : শনিবার রাতে নয়াদিল্লির রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮। এর মধ্যে ১৪ জন মহিলা এবং অন্তত ২ জন শিশু আছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতের ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেছেন। এই আবহে উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক যুক্তি দিলেন, একজন সিঁড়ি দিয়ে পিছলে পড়ার জেরেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক হিমাংশু শেখর বলেন, ‘যখন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে, তখন পটনাগামী মগধ এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে ছিল নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। এবং জম্মুগামী উত্তর সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। সেই সময় প্ল্যাটফর্ম ১৪ ও ১৫-তে নামতে গিয়ে সিঁড়িতে একজন যাত্রী পা পিছলে পড়ে যান এবং কয়েকজন আঘাত পান এবং তার থেকেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তদন্ত করছে।’

এদিকে রেল আধিকারিকের এই মন্তব্য শেয়ার করে উদ্ধবপন্থী শিবসেন সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লেখেন, ‘এবার একজন মানুষের ওপরেই গোটা ঘটনার দায় চাপানো হবে এবং মন্ত্রীকে বাঁচানো হবে।’ এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্ট করে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘোষণা করেন যে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও মহাকুম্ভগামী রেলযাত্রীদের ভিড় সামলাতে কেন আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি, কেন পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে গেল, তা নিয়ে কোনও বাক্য ব্যয় করেননি রেলমন্ত্রী।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৪ এবং ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, প্রয়াগরাজের দু’টি ট্রেন বাতিল হওয়ার পরে এই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ রেলযাত্রীদের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। যার জেরে পদপিষ্ট হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। আরও অনেক রেলযাত্রী আহত হয়েছেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে রেলওয়ে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার কেপিএস মালহোত্রা জানান, বিলম্বিত ট্রেনের জেরে স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় প্ল্যাটফর্মে অনেক লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন। এদিকে স্বতন্ত্র সেনানি এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস বিলম্বির হয়েছিল। এই ট্রেনগুলি ১২ এবং ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। ১৫০০ জেনারেল টিকিট বিক্রি হয়েছিল। এর জেরে প্ল্যাটফর্মে ভিড় বেড়ে গিয়েছিল।’ সৌজন্যে ডিজিটাল হিন্দুস্তান টাইমস