দেশ 

শতবর্ষেই নাগপুর থেকে সরছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদর দফতর! নয়া দফতর কোথায়? উদ্বোধন কবে? কত টাকা খরচ হল নতুন নির্মাণে? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : শতবর্ষের শুরুতেই নাগপুর থেকে সরছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদর দফতর। জানা গেছে আগামী ১৯ শে ফেব্রুয়ারি দিল্লির ঝান্ডেনওয়ালের আরএসএসের সদর দফতর কেশবকুঞ্জ এর উদ্বোধন করবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। দিল্লিতে পাঁচ লক্ষ বর্গফুট জায়গাতে গড়ে তোলা হয়েছে ১২তলা উঁচু তিনটি বাড়ি— সাধনা, প্রেরণা, অর্চনা। সঙ্ঘের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন সদর দফতর নির্মাণে মোট খরচ হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।

আরএসএসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শিবাজি জয়ন্তীতে নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে, আরএসএস প্রধান (সরসঙ্ঘচালক) মোহন ভাগবত এবং সাধারণ সম্পাদক (সরকার্যবাহ) দত্তাত্রেয় হোসাবোলের হাতে।

Advertisement

নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাটের স্থপতি অনুপ দাভে গুজরাটি এবং রাজস্থানি ধারার সংমিশ্রণে আরএসএস সদরের নকশা তৈরি করেছেন। চার একরের বেশি জমিতে গড়ে ওঠা সদর দফতরে ৪৬৩ আসনের ভিআইপি অডিটোরিয়াম হলটির নাম দেওয়া হয়েছে সঙ্ঘের শাখা সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রয়াত নেতা অশোক সিঙ্ঘলের নামে। আশির দশকে তাঁর নেতৃত্বের প্রথম শুরু হয়েছিল রামমন্দির আন্দোলন। রয়েছে ৬০০ আসনের একটি পৃথক প্রেক্ষাগৃহ। তিনটি ভবনে সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার দফতর এবং স্বয়ংসেবক ও প্রচারকদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে, হাসপাতাল, দাতব্য চিকিৎসালয় এবং পাঠাগারও। সব মিলিয়ে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির সদরকেও ছাপিয়ে গিয়েছে আরএসএসের কেশবকুঞ্জ।

উল্লেখ্য আরএসএস স্থাপিত হয়েছিল ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে সেই মতো ২০২৫ সাল শতবর্ষে পড়ল প্রাচীন এই সংগঠনটি। আর শতবর্ষে এই মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে সদর দফতর সরে আসছে দিল্লিতে। শুধু তাই নয় এবার আরএসএসের সদর দফতরে কর্পোরেটের ছোঁয়া দেখা যাবে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ