আন্তর্জাতিক 

‘‘ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে শেখ হাসিনা সরকার নৃশংস পরিকল্পিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিল’’: রাষ্ট্রপুঞ্জ

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রাক্তন গদিচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা মানবতা বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে রিপোর্ট দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় বাংলাদেশ জুড়ে আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল যা জুলাই আগস্ট আন্দোলন নামে পরিচিত। ২০২৪ সালে সংঘটিত কোটা সংস্কার আন্দোলনপর্ব জুলাই আগস্ট মাসে ঘটেছিল সেই সময় হাসিনা সরকারের আমলে এবং মদতে ‘পরিকল্পিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ ঘটানো হয়েছিল বলে বুধবার প্রকাশিত রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

রিপোর্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বলেন, ‘‘ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার নৃশংস পদক্ষেপ করেছিল।’’গত ৫ অগস্ট জনবিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রীপদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা। তার পরেই ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং আওয়ামী লীগ-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে ‘গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ’-এর অভিযোগে একের পর এক মামলা দায়ের করা হয়েছিল হাসিনা-সহ প্রাক্তন মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

এর পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে এসেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’। কোটা সংস্কার আন্দোলনপর্বের প্রত্য়ক্ষদর্শী এবং ‘নির্যাতিতদের’ সঙ্গে কথাও বলেন ওই দলের সদস্যেরা। সে সময় হাসিনা সরকার প্রতিবাদীদের উপর ‘নিয়মতান্ত্রিক দমনপীড়ন’ চালিয়েছিল বলে রিপোর্টে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরা। লেখা হয়েছে, ‘‘হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আগে তাঁর সরকার শয়ে শয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যা চালিয়েছে।’’ খুনের জন্য় সরকার বাহিনীর পাশাপাশি রিপোর্টে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলকেও নিশানা করা হয়েছে।

কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’-এর রিপোর্টে ‘২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ অগস্টের মধ্যবর্তী সময়ে ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী ঘটনা ও হত্যাকাণ্ড সম্পর্ক তথ্য রয়েছে’।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ