দেশ 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৭ লক্ষ ২৫ হাজার ভারতীয়কে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন, বিদেশ মন্ত্রকের সূত্র উদ্ধৃত করে দাবী কংগ্রেস নেতার

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৭ লক্ষ ২৫ হাজার ভারতীয়কে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। আজ বুধবার সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে এ দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা রাজিব শুক্লা। তিনি দাবি করেছেন বিদেশ মন্ত্রকের একটি বৈঠকে থাকার সুবাদে তিনি এই তথ্য জানতে পেরেছেন। উল্লেখ্য আজ বুধবার আমেরিকা থেকে ২০৫ জন ভারতীয়কে মার্কিন বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে অমৃতসরে পৌঁছে দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিতে এরা সবাই অবৈধ অভিবাসী ছিলেন আমেরিকায় তাই তাদেরকে বহিষ্কার করলো ওই দেশের প্রশাসন।

উল্লেখ্য,ক্ষমতায় আসার আগেই অভিবাসীদের নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই মতোই আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তিনি। সেই সূত্রেই বুধবার ২০৫ জন ভারতীয় মার্কিন সেনার বিশেষ বিমানে অমৃতসরে পৌঁছেছে। একই দিনে সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব জানান, সংসদে বিদেশ মন্ত্রকের একটি বৈঠকে যোগ দিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন তিনি।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে কংগ্রেস নেতা লিখেছেন, “আজ আমি সংসদে বিদেশ মন্ত্রকের একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। সেখান থেকে জানতে পারলাম, ৭ লক্ষ ২৫ হাজার ভারতীয়কে ফেরত পাঠাচ্ছে আমেরিকা। তাঁদের অবৈধ নাগরিক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষগুলো বছরের পর বছর ধরে আমেরিকায় থাকছিলেন। এ দেশে তাঁদের কিছুই নেই। এখানে আসার পর তাঁরা কী করবেন? এঁরা আচমকাই ধনী থেকে দরিদ্র হয়ে পড়েছেন। ” উল্লেখ্য, আমেরিকায় ভারতীয় দূতাবাসের মুখপাত্র অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি মঙ্গলবারই নিশ্চিত করেছিলেন। এরপরই বুধবার ভারতে পৌঁছেছে মার্কিন সেনার বিশেষ বিমান।

এই মুহূর্তে আমেরিকার মাটিতে ১ কোটি ৪০ লক্ষ অবৈধ অভিবাসী আছে বলে মার্কিন প্রশাসনের দাবি। তাঁদের মধ্যে ৭ লক্ষ ২৫ হাজার ভারতীয়। মার্কিন মুলুকে এবার তীব্র শীতের কামড়ে নয়, বরং ট্রাম্প-আতঙ্কেই কাঁপছেন তাঁরা। কারণ অফিসে এসে প্রথমদিনই ট্রাম্প হুঙ্কার দিয়েছেন, নথিবিহীন অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে বের করে দেওয়া হবে। শুধু তা-ই নয়, কর্মসূত্রে অভিবাসী যাঁদের সন্তানের জন্ম হয়েছে আমেরিকার মাটিতে, তাঁরাও আর পুরনো আইনের সুবিধায় মার্কিন নাগরিকত্ব পাবেন না। এছাড়া বাবা কিংবা মায়ের মধ্যে অন্তত একজনের গ্রিনকার্ড না থাকলে, সন্তান পাবে না জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সুযোগ। বাস্তবেই সেই পথে এগোচ্ছেন ট্রাম্প!


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ