আন্তর্জাতিক 

Syria War : সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, ইসলামিক সংগঠনগুলির ক্ষমতা দখল সময়ের অপেক্ষা মাত্র, মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য হারাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।?

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে সংবাদমধ্যম সূত্রে খবর এদিকে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ঢুকে পড়েছে বিদ্রোহীরা।এ হেন পরিস্থিতিতে দেশের রাশ বিদ্রোহীদের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত সিরিয়ার সরকার, এমন জানালেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ গাজ়ি জালালি। তবে তিনি চান, বিষয়টি শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হোক!

গত কয়েক দিনে সিরিয়ার একের পর এক শহর দখল করছেন বিদ্রোহীরা। রবিবার সকালেই রাজধানীতে ঢুকে পড়েন বিদ্রোহীরা। বিভিন্ন সরকারি ভবনের দখল নেওয়া শুরু করেছেন। শনিবার রাত থেকেই দামাস্কাস ঘিরে ফেলার কাজ শুরু করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তাদের আগ্রাসনের সামনে পিছু হটতে শুরু করে সিরিয়া সেনা। বিদ্রোহীদের দখলে দামাস্কাস আসতেই ‘বেপাত্তা’ প্রেসিডেন্ট আসাদ। সিরিয়ার সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকেরা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বিমানে উঠেছেন। তবে গন্তব্য কোথায় সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোনও খবর মেলেনি।

Advertisement

প্রেসিডেন্ট দেশছাড়া, রাজধানীর বুকে দাপাচ্ছেন বিদ্রোহীরা— এমন অবস্থায় ‘যুদ্ধে’ না জড়িয়ে ‘আত্মসমর্পণে’র পথই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী জালালি। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, তিনি একটি ভিডিয়োবার্তা প্রকাশ করে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার বাড়িতেই আছি। আমি কোথাও পালাইনি। কারণ এটা আমার দেশ।’’ জালালি আরও জানান, রোজকার মতো সকালে তিনি নিজের অফিসে যাবেন। কাজকর্ম সারবেন। পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি নষ্ট না করার আহ্বানও জানিয়েছেন জালালি।

সিরিয়ার বিদ্রোহী দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী আগ্রাসনে পিছু হটেছে আসাদের সরকার। রবিবার সকালে রাজধানীও বিদ্রোহীদের দখলে। সিরিয়ায় গত ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিয়েছিল আমেরিকা। পরবর্তী সময়ে আইএসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে নেটো বাহিনীও হামলা চালিয়েছিল।

সিরিয়াতে যেভাবে ইসলামিক সংগঠন গুলি ক্ষমতা দখল করলো তাতে মধ্যপ্রাচ্যের পাশ্চাত্যের অনেকটাই প্রভাব খর্ব হবে বলে আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে। যদিও কিছু গণমাধ্যম এটাকে আমেরিকার সাফল্য বলে প্রচার করার চেষ্টা করছে তা কিন্তু নয় এই সাফল্যটা ওই এলাকার সাধারণ নাগরিকদের তৈরি করা সংগঠনের সাফল্য বলে আন্তর্জাতিক মহলের দাবি। গাজা ইসরাইল এবং লেবাননের হিজবুল্লার সঙ্গে সংঘর্ষের মাঝে সিরিয়া সরকারের এই পতন পাশ্চাত্য দুনিয়াকে অনেকটাই সমস্যায় ফেলবে বলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ