মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে এতো দেরি কেন ? রহস্য কী!
বাংলার জনরব ডেস্ক : ভোটের ফলপ্রকাশের পর চার দিন কেটে গেলেও মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি মহজুটি। যদিও বিজেপি এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। বরং ‘ধীরে চলো’ নীতি নেওয়ারই ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। তাই নিয়েও এবার কটাক্ষ আসছে বিরোধী শিবির থেকে। শিব সেনার উদ্ধব শিবিরের প্রশ্ন, “মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণায় এত দেরি কেন?”
সোমবারই ‘বিহার মডেলের’ প্রসঙ্গ টেনে শিণ্ডে সেনার মুখপাত্র নরেশ মাশকে বলেন, ‘‘বিহারে যেমন বিজেপি আসনসংখ্যার দিকে না-তাকিয়ে নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল, তেমনই এখানেও শিণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত।’’ শিব সেনা স্পষ্ট করে দিয়েছে, একনাথ শিণ্ডে কোনওভাবেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে সন্তুষ্ট থাকবেন না। শিন্ডে সেনার বিধায়ক এবং কর্মী-সমর্থকেরা শিণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানালেও মহারাষ্ট্রের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী নিজে অবশ্য সকলকে সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন। সোমবার গভীর রাতে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন শিন্ডে। সেখানে তিনি কর্মীদের সংযত থাকার অনুরোধ করেন।
এদিকে বিজেপির একটি সূত্রের অবশ্য দাবি, শীর্ষ নেতৃত্ব এবং আরএসএস দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে চাইছে। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত ফড়নবীশের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করা না-হলে জোট কী প্রভাব পড়তে পারে, তাই নিয়েও নাকি আলোচনা হয়। ভিতরে তাপ-উত্তাপ বৃদ্ধি পেলেও প্রকাশ্যে অন্তত দুই দলই এককাট্টা থাকার বার্তা দিচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, এই প্রশ্নে দ্রুত ঐকমত্য না-হলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। এর মধ্যে চাপ বাড়াচ্ছে শিব সেনার উদ্ধব শিবিরও। সঞ্জয় রাউত বলছেন, “বিজেপির কাছে একনাথ শিণ্ডে এখন অপ্রয়োজনীয়। তাঁকে এখন ফড়ণবিসের অধীনে কাজ করতে হবে।” উদ্ধব শিবিরের আর এক নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী আবার প্রশ্ন করছেন, “মুখ্যমন্ত্রী পদে ফড়ণবিসের নাম যদি চূড়ান্ত হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে ঘোষণায় দেরি কেন?”