কর্মযোগী আব্দুস সাত্তারকে সংখ্যালঘু দফতরের প্রধান উপদেষ্টা করে সদিচ্ছার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী/ এস এম শামসুদ্দিন
এস এম শামসুদ্দিন : অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারকে সংখ্যালঘু দফতরের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের জন্য মাননীযা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে জানাই হার্দিক অভিনন্দন ।
মাননীয় আবদুস সাত্তার সাহেব ছিলেন বাম ফ্রন্টের একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী কর্মোদ্যোগী সফল ও সার্থক সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী ।তাঁর উদ্যোগে সংখ্যালঘু দফতরের যে ভাবে নানান বিষয়ে উন্নয়ন হয়েছিল তার পূর্বের ও পরের দ্বিতীয় কোনও উদহারন নেই।
তিনি যদিও মালদহের কালিয়াচকের মজমপুর গ্রামের মানুষ কিন্তু পড়াশুনা সূত্রের তাঁর কলকাতায় আগমন তারপর তিনি বাম ছাত্র আন্দোলন থেকে দলের একনিষ্ট কর্মী। অনিল বিশ্বাস ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অত্যন্ত বিশ্বস্ত মানুষ । স্নাতকোত্তরের পড়াশুনার শেষে তিনি গবেষণা ও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করে একটি কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন ।
মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হন ।বলাযায় তাঁর উন্নত ভাবনায় মাদ্রাসা পর্ষদের খোলনলচে বদলে একটা সচল ও সার্থক পর্ষদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিক সিলেবাস রচনা করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে ।এক কথায় তাঁর উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল মাদ্রাসা এডুকেশন ডাইরেক্টরেট নাম একটা পৃথক দফতর।এই সবই ছিল তাঁর উন্নত ও আধুনিক চিন্তা ভাবনার ফল।
যদিও সে সময় মাদ্রাসা সভাপতি থেকে মন্ত্রী হিসেবে তাঁর কর্মের অন্যদিক নিয়ে অন্যতম সমালোচক হিসেবে বিচার করলে হয়ত আমার নামটাই আগে আসবে। তাঁর সমালোচনা করে সে সময় সংবাদ প্রতিদিনের উত্তর সম্পাদকীয় বিভাগে লিখেছি ,লিখেছি একাধিক দৈনিক ও সাপ্তাহিকে ।
কিন্তু পরবর্তীকালে কর্মের বিচারে বিশ্লেষণ করে দেখেছি মাদ্রাসা পর্ষদ সভাপতি থেকে সংখ্যালঘু মন্ত্রী তাঁর মতো সফল ও সার্থক মন্ত্রী বা সভাপতি দ্বিতীয় কাউকেই পাইনি।
এরপর একাধিক সময়ে দেখা বা নানান সময়ে আলোচনায় ওনার উদার ভাবনা ও সহমর্মিতা ,বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ আমাকে শুধু মুগ্ধ করেনি গভীর শ্রদ্ধা জেগেছে।এমন একজন ব্যক্তি যিনি বাম ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে ,হয়েছিলেন কংগ্রেসের সহ সভাপতি,কিন্তু তেমন মর্যাদা বা কাজের পরিসর পান নি ।
এমন একজন ব্যক্তিত্বকে তাঁর উপদেষ্টা নিয়োগ করে মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন তিনি রাজ্যের সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে সচেষ্ট ।যদিও বর্তমানে সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা।শিক্ষা দফতরের,পর্ষদের ,রাজ্যের মাদ্রাসাগুলোর নানান সমস্যার সমাধানে তাঁর পরামর্শ ও সহযোগিতায় কতটা সমাধান হয় সেটাই দেখার । স্বাগত অভিনন্দন জানাই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে।
লেখক: একজন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রধান শিক্ষক ও বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক।