রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ড. আব্দুস সাত্তারকে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করল নবান্ন
বিশেষ প্রতিনিধি : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের বিশেষ পরামর্শদাতা হিসাবে রাজ্যপাল নিয়োগ করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও তথা অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারকে। তিনি একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মর্যাদা পাবেন বলে নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে। রাজ্যের সংখ্যালঘুদের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়টি তিনি দেখভাল করবেন এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ সংখ্যালঘু দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবদের পরামর্শ দেবেন।
ডঃ আব্দুস সাত্তারকে সংখ্যালঘু দফতরের প্রধান পরামর্শদাতা নিয়োগ করে রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজকে একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আব্দুস সাত্তার ২০১৮ সালে সোমেন মিত্র যখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সেই সময় তিনি সিপিএম ত্যাগ করে কংগ্রেসের যোগ দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার পর তিনি দ্রুত সহ-সভাপতি পদেও অভিষিক্ত হয়েছিলেন। যদিও বেশ কয়েক মাস ধরে তিনি কংগ্রেস দলের বিভিন্ন কাজকর্ম থেকে দূরত্ব বজায় রাখছিলেন। শুভঙ্কর সরকার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার আগে পর্যন্ত আব্দুস সাত্তারের নাম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়েছিল। কিন্তু যে কোন কারণেই হোক আব্দুস সাত্তারকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হয়নি।
সম্প্রতি রাজ্যে ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হতে চলেছে সেখানে হাড়োয়া বিধানসভার কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হিসাবে তাকে নিয়োগ করেছিল প্রদেশ কংগ্রেস। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব নিতে অপারগ বলে প্রদেশ সভাপতিকে জানিয়েছিলেন। যাইহোক আব্দুস সাত্তার দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু নীতি নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন এখন দেখার বিষয় তিনি এই দায়িত্ব পাওয়ার পর কিভাবে সংখ্যালঘুদের সেই সমস্যাগুলির সমাধান করতে পারেন।
বামফ্রন্টের আমলের সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী হিসাবে তিনি সফল হয়েছিলেন তাঁর পেছনে ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এর সদিচ্ছা। শুধু মন্ত্রী ছিলেন না তার আগে তিনি ছিলেন মাদ্রাসা বোর্ডের প্রেসিডেন্ট। মাদ্রাসা বোর্ডের সভাপতি হিসেবেও আব্দুস সাত্তার যথেষ্ট যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছিলেন এবং মন্ত্রী হিসেবে তিনি অনেকটাই সফল। তাঁর আমলে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সংখ্যালঘু ভবন, প্রায় ৫০০ টি মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্র প্রভৃতি তৈরি হয়েছিল। তবে এই কথা স্বীকার করতেই হবে আব্দুস সাত্তার যথেষ্ট কর্মযোগী মানুষ কিন্তু সে ক্ষেত্রে সরকার পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকবেন, তারা যদি সহযোগিতা না করেন তাহলে তিনি কতটা সফল হতে পারবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে বাংলার সাধারণ মানুষের।