ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হানার প্রেক্ষিতে ইরানসহ প্রতিবেশী তিন দেশ আকাশ সীমা নিষিদ্ধ করল
বাংলার জনরব ডেস্ক : ইরানের হামলা চালানোর পরেই প্রতিবেশী দুটি দেশ আকাশ সীমা পুরোপুরি বন্ধ করে দিল। প্রতিবেশী দুটি দেশ হল সিরিয়া ও ইরাক। এই দুই দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তাদের আকাশ সীমায় কোন সামরিক বা বেসামরিক বিমান চলাচল করতে পারবে না।
ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, এই তিন দেশের আকাশসীমা দিয়ে কোনও বিমান যাতায়াত করছে না। যদিও হামলার পর পরই ইরান দাবি করেছে বিমান পরিষেবা চালু করা হয়েছে। অন্য দিকে ইরাক জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের আকাশসীমা বন্ধ করা হয়েছে। হামলার প্রভাব যাতে কোনও অসামরিক বিমানে না পড়ে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে সেখানকার সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি করা হয়েছে। ইরানে হামলার পর পরই আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখতে পদক্ষেপ করল ইরাক।
অন্য দিকে, সিরিয়াও দাবি করেছে, গোলান হাইট্স থেকে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইরানে শনিবার ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই আকাশসীমা সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আকাশসীমা। গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল ইরানের বিরুদ্ধে। সেই হামলার ঘটনার ‘বদলা’ নিতে তার পর থেকেই ইরানে পাল্টা হামলা চালায় ইজ়রায়েল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাদের হামলায় হিজ়বুল্লাহ প্রধান নাসরাল্লা-সহ বেশ কয়েক জন শীর্ষনেতা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইজ়রায়েল।
ইরানের পাশাপাশি লেবাননেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। লেবাননে হামলা চালানো বন্ধ না করলে পরিণতি ভাল হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইরান। শুধু তা-ই নয়, ইরানে হামলা চালালে তারাও যে পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত সেই হুঁশিয়ারিও ইসরায়েলকে দেওয়া হচ্ছিল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর দাবি, ইরানের নির্দিষ্ট সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। যদিও ইরান সরকারকে উদ্ধৃত করে পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম আল জাজ়িরা জানিয়েছে, গত ১ অক্টোবর ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জড়িত ‘রেভোলিউশনারি গার্ডস অ্যারোস্পেস ফোর্স’-এর কোনও ক্ষতি হয়নি।