কলকাতা 

থ্রেট কালচারের নামে মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে জুনিয়র চিকিৎসকদের পাল্টা নতুন মঞ্চ!

শেয়ার করুন

বিশেস প্রতিনিধি : আরজিকর আন্দোলনের আবহে নতুন করে জুনিয়র চিকিৎসকদের আলাদা একটি সংগঠনের জন্ম হল। মনে করা হচ্ছে এই সংগঠনের সঙ্গে শাসকদলের সম্পর্ক নিবিড়। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন নামে এই সংগঠনটি আজ শনিবার আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করবে। গতকাল শুক্রবার রাতে এই সংগঠনের জন্ম হয়েছে। মনে করা হচ্ছে বর্তমান আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের পাল্টা হিসাবে এই সংগঠন কাজ করবে। তাই এই সংগঠনের জন্মের পরেই আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,‘‘এ বার মানুষের বেছে নিতে সুবিধা হবে যে, তাঁরা যে চিকিৎসকেরা থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাঁদের পাশে থাকবেন? নাকি যাঁরা থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত, তাঁদের সঙ্গে থাকবেন।’’

নতুন সংগঠনে দু’জনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন চিকিৎসক শ্রীশ চক্রবর্তী এবং প্রণয় মাইতি। সংগঠনের তরফে প্রাথমিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্দোলনের নামে জুনিয়র ডাক্তারদের একটি অংশ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ‘অরাজকতা’ তৈরি করতে চাইছে। একই ভাবে যাঁরা সে সবের প্রতিবাদ করছেন, চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা নিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’-এর মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা সংগঠন গড়ে ‘সত্যি’টা মানুষের কাছে তুলে ধরতে চান ওই নতুন সংগঠনের চিকিৎসক নেতৃত্ব।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগে আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫১ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছিলেন। তা নিয়ে গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন নবান্নের বৈঠকে। পরের দিন কলকাতা হাই কোর্ট আরজি কর কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দিয়েছিল। গত সোমবার আন্দোলনরত জুনিয়র ডক্টর্‌স ফ্রন্টের নেতৃত্বের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ অনিকেত মাহাতো বলেছিলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা এক এক জন ‘নটোরিয়াস ক্রিমিনাল’ (দাগি অপরাধী)। সূত্রের খবর, এই মন্তব্যের জন্য অনিকেতকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন অভিযুক্তদের কেউ কেউ। সেখানে বলা হয়েছে, তিনদিনের মধ্যে অনিকেতকে সমাজমাধ্যমে ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। নচেৎ তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হবে। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, অনিকেত যাঁদের ‘দাগি অপরাধী’ বলেছিলেন, হাই কোর্ট তাঁদের শাস্তি স্থগিত করেছে। তাতে তাঁদের ‘মানহানি’ হয়েছে।

যদিও অনিকেত শুক্রবার জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও আইনি নোটিস পাননি। নোটিস পেলে তিনিও আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। কারণ, তিনি সেই বক্তব্য থেকে পিছু হটছেন না। বস্তুত, হাই কোর্টের ওই নির্দেশ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীরা আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন। তেমন হলে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানান কি না, তা-ও দেখার।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ