“৫২, ৭১, ৯০তে বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায়নি,২৪ সালেও যাবে না”বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে মন্তব্য অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের
বাংলার জনরব ডেস্ক : বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রক্ত স্রোত বইছে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র হয়েছে। আজ সোমবার আন্দোলন আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সমগ্র রাজধানী শহর ঢাকাকে ঘিরে ফেলার কথা বলেছে আন্দোলনকারী। এই পরিস্থিতিতে এত মৃত্যু মিছিল দেখে বিচলিত এপার বাংলার মানবিক অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তিনি কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন। গতকাল রবিবার চৌঠা আগস্ট যেভাবে বাংলাদেশ জুড়ে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে গণহত্যা হয়েছে তাতে বিচলিত হয়ে উঠেছেন এবার বাংলার এই অভিনেত্রী। প্রথম আলোর খবর অনুসারে ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে গতকালের আন্দোলনে। আজ আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে কত মৃত্যু হতে পারে তা নিয়ে সন্ধিহান হয়ে উঠেছে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
পড়ুয়াদের শান্তির মিছিলের মুহূর্ত শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখলেন, ‘গুলি চালালে আর ভালো হবে না। সাত কোটি মানুষকে আর দাবায়ে রাখতে পারবা না, বাঙালি মরতে শিখেছে, তাদের কেউ দাবাতে পারবে না…- বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন একথা, ইতিহাস কী নির্মম, মুজিবুর রহমানের ভূত বোধহয় তাড়া করছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে, যেমন করে শেক্সপিয়ারের ডাইনিরা। ফিরে ফিরে এসে বলে যায় ললাট লিখন। কী দোষ ছিল আবু সইদের, কী করেছিল মুগ্ধ, সকলকে পানি বিতরণ করছিল, তাকে গুলি করলে। আজ গোটা বাংলাদেশের নুতন প্রজন্ম শালবৃক্ষের মতো সিনা টান করে, মানুষ হয়ে বাঁচতে, জান দিচ্ছে। দেওয়ালগুলো পড়ছি। ‘আজ যদি মেট্রো হইতাম, তাহলে একটা বিচার পাইতাম’ অথবা ‘আমার খায় আমার পরে, আমার বুকেই গুলি করে।’ যে প্রজন্ম কে শাপশাপান্ত করেছে সকলে, তারা স্বার্থপর, তারাই সবচেয়ে বেশি স্বার্থত্যাগ করে দেখাচ্ছে। বলছে- ‘লাশের হিসাব কে দিবে? কোন কোটায় দাফন হবে?’ নজরুল ফিরে আসছেন র্যাপ মিউজিক হয়ে, ফিরে আসছে কাব্য, শ্লোগান।
ইতিহাস স্মরণ করে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় লিখলেন, “৫২, ৭১, ৯০তে বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায়নি। ২৪ সালেও যাবে না। ওদের ভাষাতেই বলতে ইচ্ছে করে- শোক নয় দ্রোহ। আমি পাশে আছি, যেভাবে তোমরা বলবে, আমি পাশে আছি ফিলিস্তিনের পরাধীন মানুষের, পাশে আছি ইউক্রেনের, পাশে আছি আমার সোনার বাংলার। শান্তি ফিরুক। এক সাথে সব বাঙালি যেন এ গান গাইতে পারি, এই রক্ত আর যে চোখে সয় না। হায় মাতৃভূমি…।”