দশ দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার বিকেল থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে চালু হচ্ছে ফোরজি পরিষেবা!
বাংলার জনরব ডেস্ক : বাংলাদেশ জুড়ে তীব্র চাপা অশান্তি বিদ্যমান থাকলেও টানা ১০ দিন ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হলো ইন্টারনেট পরিষেবা। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আজ রবিবার ২৮ শে জুলাই বিকেল তিনটে থেকে সারাদেশে ফোরজি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনে জেরবার বাংলাদেশে মোবাইলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া।
এদিন প্রতিমন্ত্রী মোবাইল অপারেটর, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিফোন অপারেটর বাংলাদেশ এবং মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিমন্ত্রী পলক জানিয়েছেন, “সাম্প্রতিক সময়ের মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর আজ থেকে সংযোগ চালু হচ্ছে। মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরা তিনদিনের জন্য ৫ জিবি ইন্টারনেট বোনাস পাবেন। সব অপারেটরের গ্রাহকরাই এই সুবিধা পাবেন।” উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয়। তবে এখনও বন্ধ রয়েছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টিকটক।
বলে রাখা ভালো, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। ছাত্র আন্দোলনে রক্তাক্ত হয়েছে দেশের নানা প্রান্ত। শাসকদল আওয়ামি লিগের অভিযোগ, এই আন্দোলনে মুখোশের আড়ালে উসকানি দিয়েছে ও সশস্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করেছে জামাত ও বিএনপি। যার ফলে এখনও পর্যন্ত ঝরেছে ১৯৭টি প্রাণ। এই আন্দোলনে ‘অগ্নি সংযোগ’ রুখতেই ১৭ জুলাই রাত থেকে গোটা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ১৮ জুলাই ব্রডব্যান্ড পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যদিও এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসেনি বলে সূত্রের খবর। বাংলাদেশ প্রশাসন দাবি করলেও দেশ জুড়ে একটা চাপা অশান্তি বিদ্যমান রয়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের আন্দোলন সংঘটিত হতে পারে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ ও আমেরিকায় বসবাস করেন। চাকরি সূত্রে তারা সেখানে থাকেন তাদের পাঠানো টাকায় বাংলাদেশ সরকারের বিরাট আয় হয়ে থাকে। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে এই বিদেশ থেকে প্রাপ্ত টাকার আয়ে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কিন্তু জানা গেছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের দেশে টাকা পাঠাতে রাজি হচ্ছে না। ফলে প্রচন্ড আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়তে চলেছে বাংলাদেশ।