দেশ 

বেড়াতে গিয়ে দম্পতির নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত! রহস্য কি?

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : এই সময় বেড়াতে বেরিয়েছেন! খুব সাবধান! নগদ টাকা নিয়ে বেরোবেন না আর বেরোলেই বিপদ। হতে পারে সমস্ত টাকাটাই বাজেয়াপ্ত হয়ে যেতে পারে। কারণ দেশজুড়ে লাগু হয়েছে নির্বাচনী আচরণ বিধি। যার ফলে একসঙ্গে ৫০ হাজার টাকার বেশি নিয়ে বের হওয়া যাবে না একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকার বেশি দাবি কোন উপহারও নেয়া যাবে না।

তবে তথ্য প্রমাণ হাতের কাছে থাকলে টাকা নিয়ে বের হতে পারেন যা ধরা পড়ে গেলে রিটার্নিং অফিসারের কাছে তথ্য প্রমাণ পেশ করতে পারলে আপনার নগদ অর্থ আপনি ফিরে পাবেন। এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাব থেকে তামিলনাড়ুতে বেড়াতে যাওয়া এক দম্পতির সঙ্গে।পঞ্জাব থেকে তামিলনাড়ু সপরিবার বেড়াতে গিয়েছিলেন এক পর্যটক। গাড়ি নিয়েই তাঁরা দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্য ভ্রমণে গিয়েছিলেন। নির্বাচনে যাতে অবৈধ টাকা ব্যবহার না হয়, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন সকল রাজ্যকে নজরদারি চালাতে নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ায় নীলগিরি জেলাতে সেই নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। নাকাতল্লাশি চালানোর সময় ওই পর্যটকের কাছে থেকে নগদ ৬৯,৪০০ টাকা উদ্ধার হয়। এই টাকার উৎস কী, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, ইত্যাদি প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ওই পর্যটক পরিবারকে।

Advertisement

পর্যটকের দাবি, তাঁরা পুলিশ আধিকারিকদের জানান, ভ্রমণ করতে বেরিয়েছেন। সে জন্যই এই টাকা রয়েছে তাঁদের সঙ্গে। অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করার কোনও উদ্দেশ্যও নেই তাঁদের। পুলিশের তরফে যখন জানানো হয় যে, ১৬ মার্চ থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। আর সেই নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে। পর্যটকের দাবি, পুলিশের কাছে তিনি জানান যে, নির্বাচনী আচরণবিধি যে চালু হয়ে গিয়েছে, সেই সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন না। পুলিশের তরফে জানানো হয়, বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা নীলগিরি জেলার রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠানো হবে। তিনি এই টাকার উৎস এবং নথি খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট হলে তবেই ফেরত পাওয়া যাবে। সোমবার রিটার্নিং অফিসার পর্যটকদের নথি খতিয়ে দেখার পর সেই টাকা ফেরত দিয়ে দেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কোনও ব্যক্তি নগদ ৫০ হাজারের বেশি টাকা, ১০ হাজারের বেশি দামের কোনও উপহার বহন করলে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হবে। যদি সেগুলির সঠিক তথ্য দেখাতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, তা হলেই সেই টাকা বা উপহার ফেরত দেওয়া হবে।

সুতরাং খুব সাবধান ভেবেচিন্তে বাড়ি থেকে বের হন। না হলে অকারণে হেনস্থার শিকার হতে হবে। যদিও সাধারণ নাগরিকের দাবী এই ধরনের আচরণবিধির নামে অকারণে মানুষকে হেনস্তা করা হচ্ছে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ