স্বামীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শংকর আঢ্য এর স্ত্রী
বাংলার জনরব ডেস্ক : স্বামীকে দেখে কেঁদে ফেললেন স্ত্রী। রেশন দুর্নীতি মামলায় আপাতত ইডির জালে বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্য। আজ শনিবার তাঁকে তোলা হয় ইডির বিশেষ আদালতে। স্বামীকে চোখের সামনে দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না শংকর ঘরনি জ্যোৎস্না। স্বামীর পায়ের সামনে কান্নায় লুটিয়ে পড়লেন তিনি। স্বাস্থ্যের হাল দেখে কার্যত অবাক হয়ে যান তৃণমূল নেতার স্ত্রী। বললেন, “তোমাকে তো চেনাই যাচ্ছে না।”
শনিবার ইডির বিশেষ আদালতে দাঁড়িয়ে শংকরের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি। তবে আরও ভালো করে তাঁর চিকিৎসা করানো হোক বলেই দাবি আইনজীবীর। তিনি বলেন, “একটা কিডনি নেই। রক্তে শর্করার মাত্রা, রক্তচাপ বেশি। ওরাও চিকিৎসা করেছে। আমরা আরও ভাল চিকিৎসারও আবেদন করছি।” আইনজীবী আরও বলেন, “এফিডেভিট দিয়ে বলুক এত কোটি টাকার যোগ পাওয়া গিয়েছে বা বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তরিত করা হয়েছে।”
অবশ্য অসুস্থতার কথা উড়িয়ে দেন ইডির আইনজীবী। বলেন, “আগে থেকেই অসুস্থ শংকর আঢ্য। কিন্তু মেডিক্যালি ফিট। জেলেও চিকিৎসা হতে পারে। হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হলে জেল হাসপাতালের চিকিৎসক ঠিক করবেন। এর আগেও এসএসকেম হাসপাতালে অনেকে ভর্তি হয়ে তিন মাস কাটিয়ে দিয়েছেন। কী অসুখ আছে জানি না। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা আছে বলে চিকিৎসার কাগজপত্র দেখে মনে হচ্ছে না।”
উল্লেখ্য, ইডির দাবি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের লেখা একটি চিঠির সূত্র ধরেই গ্রেফতার হয়েছেন শংকর আঢ্য। সেই চিঠির সত্যতা নিয়ে বার বারই প্রশ্ন তুলেছেন বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান। শনিবার তিনি পালটা প্রশ্ন তোলেন। তাঁর প্রশ্ন, “হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে উনি (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) কলম, কাগজ পেলেন সেটা দেখা হোক। তা হলে সত্যিটা বোঝা যাবে।” এছাড়াও বার বার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ধৃত। বনগাঁর দাপুটে তৃণমূল নেতা আদৌ জামিন পান নাকি ইডি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ে তাঁর, সেদিকেই নজর সকলের।