জেলা 

জয়নগরে অশান্তি অব্যাহত! ঘর ছাড়াদের নিয়ে বাড়ি ফেরাতে গিয়ে বাধার মুখে সুজন- কান্তি, বারুইপুরের এসডিপিওর সঙ্গে বচসায় জড়ালেন নওশাদ!

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : জয়নগরে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা খুনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের পুরুষশূন্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিরোধীদলের কোন পুরুষ এলাকায় নেই বলে মহিলাদের অভিযোগ একটা হাহাকার একটা কান্নার রোল ধ্বনিত হচ্ছে সমগ্র এলাকা জুড়ে। মনে হচ্ছে যেন বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বগটুই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয় নগরে। যেভাবে বিরোধীদের সন্দেহ করে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে পুলিশের সামনে যে কাজগুলো করা হয়েছে তা নিঃসন্দেহে গুরুতর অপরাধ একইসঙ্গে পুলিশ মন্ত্রীর ব্যর্থতা প্রকট হয়ে ধরা পড়ছে।

এদিকে সন্ত্রাস কবলিত জয়নগর এলাকার পরিদর্শনে যান দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সিপিএমের সম্পাদক তথা প্রাক্তন সাংসদ সুজন চক্রবর্তী এবং সঙ্গে ছিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী। বাম কর্মী সমর্থক আক্রমণ হওয়ার কারণে জেলা সম্পাদক হিসাবে সুজন চক্রবর্তী সহ কান্তি গাঙ্গুলী সহ বেশ কিছু বাম নেতা ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে পুলিশ আটক করে। এরপর পুলিশের সঙ্গে ধস্তা স্বস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বাম নেতারা সবমিলিয়ে একটা উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয় এলাকায়।

Advertisement

অন্যদিকে রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় জননেতা পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী জয়নগর যাওয়ার পথে রাস্তায় বারুইপুরের এসডিপিও তাকে আটক করে বলে অভিযোগ। এরপর নওশাদের সঙ্গে বারুইপুরের এসডিপির কথা কাটাকাটি শুরু হয় কিন্তু পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তাদেরকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া যাবে না।

উল্লেখ্য গতকাল সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় খুন হন তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্কর এরপর শাসকদলের নেতারা একের পর এক বামপন্থীদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিতে থাকে। যদিও সাইফুদ্দিন লস্করের স্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সিপিএম জড়িত এটা এখনই বলা যাবে না। তার পরেও কোন উদ্দেশ্য এবং কোন লক্ষ্য নিয়ে শাসক দলের নেতারা বামপন্থীদের নিশানা করলেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি আইনকে কোন রকম তোয়াক্কা না করে যেভাবে যিনি গুলি চালিয়েছেন বলে অভিযোগ সেই শাহাবুদ্দিনকে গণপিটুনি দিয়ে মারা হলো কেন মারা হল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ কি করছিল সেই নিয়েও সাধারন মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। প্রকৃতপক্ষে পুলিশ প্রশাসনের একটা অংশ পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বচ্ছ ভাব মূর্তিকে বিনষ্ট করার জন্য চেষ্টা করে চলেছেন এই কাজটি বারবার হচ্ছে এই কারণে যে বিরোধীদের নিশানায় এবার মুখ্যমন্ত্রীকে পড়তে হবে।

এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে ঘরছাড়াদের সঙ্গে নিয়ে জয়নগরের দলুয়াখাঁকি গ্রামে যাচ্ছিলেন সিপিএমের প্রতিনিধিদল। ছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তী, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। কিন্তু গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশি বাধার মুখে পড়ে নেতারা একা যাওয়ার আরজি জানান, তাতেও সম্মতি মেলেনি। পরবর্তীতে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।

বাধা মুখে ফিরে আসেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। জানান, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি না থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ঘরছাড়াদের জন্য। একিদে জয়নগর থানায় অভিযোগ করেন সুজন চক্রবর্তীরা। এদিকে জয়নগরে যাওয়ার পথে এসডিপিওর বাধার মুখে ভাঙড়ের বিধায়ক। এসডিপিএকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন নওশাদ। তবে তা সত্ত্বেও প্রবেশের অনুমতি মেলেনি। শেষে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড় পুলিশ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ