অপারেশন সিন্দুরের পর দেশের পনেরো টি শহরে পাকিস্তান হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় তা রুখে দেওয়া হয়েছে
অপারেশন সিঁদুরের পরেই ভারতের একাধিক সেনাছাউনিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতীয় সেনার তৎপরতায় তা বানচাল করে দেওয়া গিয়েছে। উল্টে পাকিস্তানেরই কয়েকটি জায়গার ‘এয়ার ডিফেন্স রেডার সিস্টেম’ ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে এ কথা জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
সরকারি জানিয়েছে, বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের কয়েকটি জায়গায় সেনাছাউনিতে ড্রোন এবং মিসাইল হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান। তার মধ্যে রয়েছে শ্রীনগর, পঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা এবং চণ্ডীগড়। কিন্তু পাক সেনার সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সেনাও তার জবাব দিয়েছে। তাতে লাহৌর-সহ পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় এয়ার ডিফেন্স রেডার সিস্টেম ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এ কাজে ‘ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড’ সিস্টেম ব্যবহার করেছে ভারত।
পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হানায় ২৬ জনের মৃত্যুর পরে জঙ্গিদের জবাব দিতেই মঙ্গলবার রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। মাত্র ২৫ মিনিট অভিযানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে মোট ৯টি জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। সেগুলির মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে থাকা বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের মূল ঘাঁটি এবং মুরিদকে-তে লশকর-এ-ত্যায়বার মূল ঘাঁটি। জইশের মূল ঘাঁটিতে হামলায় প্রাণ হারিয়েছে সেই জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান মাসুদ আজ়হারের পরিবারের দশ জন, যাদের মধ্যে রয়েছে তার ভাই, বোন ও ভাইপো। সব মিলিয়ে কমপক্ষে ৭০ জন জঙ্গির প্রাণহানির খবর মিলেছে।
ওই ঘটনার পর বুধবার রাতেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ভারতকে। বলেছিলেন, ‘‘ভারতকে এই হামলার মাসুল দিতে হবে।’’ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফেও জানানো হয়েছিল, ভারতের আকাশপথে হামলার জবাবে ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ আছে পাকিস্তানের।