বাংলায় প্রশান্ত কিশোরের প্রত্যাবর্তনে ধর্মনিরপেক্ষ মানুষেরা আতঙ্কিত : হাফিজুর রহমান
হাফিজুর রহমান : আজকের ভারতবর্ষের বিজেপির দ্বারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, জাতি দাঙ্গা ,উপজাতি দাঙ্গা এর পরোক্ষ বীজ বপনকারী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শদাতা হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন তে বাংলার জনগণ আতঙ্কিত !!! তৃণমূল কংগ্রেসের পরামর্শদাতা হিসেবে প্রশান্ত কিশোর ( পি কে ) এর প্রত্যাবর্তন সামান্য খবর হলেও বাংলার ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষের কাছে বিপদ সংকেত। ভারতবর্ষের অপামর জনগণ প্রশান্ত কিশোরকে চিনতে পারে ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে বিজেপি নির্বাচনী পরামর্শদাতা ও কৌশলী হিসেবে । যে নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ অনুযায়ী বিজেপি দল যত প্রকারের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং সমগ্র ভারতবর্ষকে ধর্মের ভিত্তিতে, জাতির ভিত্তিতে , জাতিকে ভেঙে উপজাতি তে ভেঙ্গেছিল এবং আগামী দিনের সাম্প্রদায়িক, দাঙ্গা জাতি দাঙ্গার বীজ বুনে দিয়েছিল।
নরেন্দ্র মোদিযার উদাহরণ মনিপুরের জাতি দাঙ্গা । ২০১৪ সালে বিজেপি জয়লাভ করেছিল এর ফলে এবং ভারতের ক্ষমতা দখল করেছিল আর তার সঙ্গে চুক্তি মত বিপুল পরিমাণ টাকা প্রশান্ত কিশোর পেয়েছিল। কিন্তু ভারতবর্ষের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ব্যাপকভাবে ভাঙ্গার কাজ সেই দিন থেকে শুরু হয়েছিল যা বর্তমান পর্যন্ত বিরজমান । তার প্রমাণ কত বৃহস্পতিবার ভারতবর্ষের সংসদে দাঁড়িয়ে বিজেপির সাংসদ সদস্য রমেশ বিধরী অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন বিএসপির সংখ্যালঘু সাংসদ দানিশ আলীকেকে।
২০২১ সালে আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পরামর্শদাতা হিসেবে প্রশান্ত কিশোর কাজ করতে আসেন। তৃণমূল কংগ্রেস দল প্রশান্ত কিশোরের ধর্মের ভিত্তিতে, জাতির ভিত্তিতে, উপজাতির ভিত্তিতে নির্বাচনী সমীকরণ এর মাধ্যমে নির্বাচনী জয়লাভ করেন । প্রশান্ত কিশোরের এই সমীকরণের মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষ দুটি দল জাতীয় কংগ্রেস ও সিপিআইএম যারা ২০১৬ নির্বাচনে মোট ৭৭ টি বিধানসভায় জয়ী হয়েছিল তারা এই ২০২১ এর নির্বাচনে শূন্য হয়ে গেল আর সেই ৭৭ টি সিটে জয়লাভ করলো সাম্প্রদায়িক বিজেপি দল। যারা পশ্চিমবাংলার বিরোধী দল হিসাবে আসনে বসলো।
এটাই হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ও প্রশান্ত কিশোরের জুটির আসল ফলাফল । পশ্চিমবাংলায় ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির পরাজয় হল এবং সাম্প্রদায়িক বিজেপির শক্তির উত্থান হল । বাংলার জনগণ বুঝে গেল বাংলায় বিজেপি আনার নায়ক কে ?!!
তাই আমরা বাংলার ধর্ম নিরপেক্ষ জনগণ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরের জুটির পুনর্মিলনতে আতঙ্কিত !!!
লেখক হাওড়া জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। এই লেখার সমস্ত দায় এবং দায়িত্ব লেখকের বাংলার জনরব এর নয়।