সভার অনুমতি মেলেনি, ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে গান্ধীর সমাধিতে প্রার্থনায় যোগ দিয়ে বকেয়ার দাবিতে গিরিরাজের কাছে যাবেন তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা!
বাংলার জনরব ডেস্ক : একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য দোসরা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে, দিল্লি চলো ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বারবার দিল্লি পুলিশের কাছে অনুমতির চেয়েও অনুমতি পাওয়া যায়নি বিক্ষোভ কর্মসূচির। শনিবারও তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন দিল্লী পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দিয়েছেন তারপরেও এই বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার অন্যতম কর্মসূচি দোসরা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর সমাধি ক্ষেত্রের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ করার। সেই অবস্থান-বিক্ষোভে ই সম্ভবত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের প্রথম শাড়ি নেতা মন্ত্রী বিধায়ক জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিক্ষেত্রে যোগ দিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা অবিলম্বে দেওয়ার দাবি জানাবে। অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রার্থনা সভায় অংশ নিয়ে এই কর্মসূচি পালন হবে বলে আজ শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলের অন্যতম মুখপাত্র চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য একথা জানিয়েছেন।
শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে বিকল্প ওই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ওই কর্মসূচি কী ভাবে রূপায়িত হবে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন অন্য দুই মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং শশী পাঁজা।
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, গান্ধী জয়ন্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সকল সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা দিল্লির রাজঘাটে প্রার্থনায় বসবেন ২ অক্টোবর, গান্ধী জয়ন্তীতে। চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, ওই দিন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে সাক্ষাতের সময়ও চাওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। রাজঘাটে প্রার্থনা সেরে সকলে গিরিরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন। বাংলা থেকে ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে তাঁরা গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী শশী। রাজ্যে যাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেও অর্থ পাননি, তাঁরাই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন।
সেই সব চিঠিই গিরিরাজের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শশী। যদিও, এর আগে গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। অভিষেকের নেতৃত্বের ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায় করতে গিয়ে মন্ত্রীর দেখা না পেয়েই ফিরে আসতে হয়েছিল তৃণমূল সাংসদদের।
তবে এই কর্মসূচি কি আদৌ সফল হয় কিনা সেটা এখন হাজার কোটি টাকার প্রশ্ন। কারণ মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে ইন্ডিয়া জোট রাজঘাটে একটি সভার আয়োজন করেছে। মোদি সরকারের অগতান্ত্রিক কাজকর্ম এবং স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এই সভার ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়া। সম্ভবত সেই সভাতেই যোগ দিতে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতারা এবং জনপ্রতিনিধিরা।