দেশ 

দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় জেএনইউয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি এবং অপহরণের চেষ্টা পাশাপাশি এক পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগে চাঞ্চল্য দিল্লি জুড়ে, গ্রেফতার এক

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ভারতের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি এবং এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্র দিল্লি জুড়ে। অভিযোগে জানা যাচ্ছে গতকাল রাতে দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে একটি গাড়ি নিয়ে পাঁচজন যুবক ঢুকেছিল। এই পাঁচজনের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানি এবং অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে কিভাবে এবং কার মদতে গাড়ি নিয়ে ঢোকার সাহস হলো এই পাঁচজনের।তদন্তে নেমে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে শুরু তল্লাশি।

অভিযোগ, গভীর রাতে মত্ত অবস্থায় গাড়ি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দুই পড়ুয়াকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। দুই পড়ুয়া চিৎকার করলে তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। লোকজন ছুটে আসার আগেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই এক পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করারও।

দু’টি ঘটনাতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম অভিষেক। তিনি একটি কলেজের বিটেকের ছাত্র। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

বুধবার সকালে দায়ের করা জেএনইউয়ের দুই ছাত্রীর অভিযোগ, রাতে খাওয়াদাওয়ার পর দুই বন্ধুতে মিলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের মধ্যেই হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। আচমকাই তাঁরা দেখেন, সামনে দিয়ে দ্রুতগতিতে একটি গাড়ি আসছে। গাড়িটি তাঁদের ঠিক সামনে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যায়। গা়ড়ি থেকে নেমে আসেন পাঁচ মত্ত যুবক। তাঁরা দুই ছাত্রীকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। ছাত্রীরা চিৎকার করতে শুরু করলে তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয়। গোটা ঘটনাটি ঘটেছে এমন জায়গায় যেখানে সিসিটিভি লাগানো নেই।

অন্য অভিযোগটি দায়ের করেছেন এক গবেষক ছাত্র। তাঁর অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর গেটের কাছে একটি জায়গায় গাড়ির সবক’টি দরজা খুলে বসেছিলেন পাঁচ যুবক। তাঁরা আইসক্রিস খাচ্ছিলেন। গাড়ির দরজা হাট করে খোলা থাকায় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল অন্যান্যদের। তা বলতে গিয়েছিলেন ওই গবেষক ছাত্র। কিন্তু দরজা বন্ধ তো দূর অস্ত, গবেষকের কথা শুনেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে বহিরাগতরা প্রবেশ করেছে এবং তাণ্ডব চালিয়েছে তাতে দিল্লী পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ কেন একটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারছে না তা নিয়ে দিল্লি সহ দেশের সচেতন নাগরিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ