দেশ 

উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরের সাংসদ আফজাল আনসারীর সাংসদ পদ খারিজ হতে চলেছে!

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : বিজেপি বিধায়কের অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর থেকেই নির্বাচিত বহু জন সমাজ পার্টির সংসদ আফজাল আনসারী সাংসদ পদ খারিজ হতে চলেছে। জানা গেছে,২০০৫ সালে গাজিপুরের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত একটি অপহরণের ষড়যন্ত্রের মামলায় দোষী সাব্যস্ত আফজলকে শনিবার ৪ বছর জেলের সাজা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের এমপি-এমএলএ আদালত।

আদালতের এই রায়ের ফলে ‘বাহুবলী’ সাংসদ ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১) ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর ধারা অনুযায়ী আফজলের সাংসদ পদ খারিজ হওয়া নিশ্চিত। কারণ, ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দু’বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি সাজা ঘোষণার দিন থেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার হারাবেন।

Advertisement

আফজলের পাশাপাশি তাঁর দাদা, প্রাক্তন বিধায়ক মুখতার আনসারিকে ওই অপহরণ ও খুনের মামলায় ১০ বছরের জেলের সাজা দিয়েছে গাজিপুরের আদালত। ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর মহম্মদাবাদের কোতোয়ালি থানায় আনসারি ভাইদের বিরুদ্ধে ‘গ্যাংস্টার আইনে’ ওই মামলা রুজু করা হয়েছিল। একাধিক অপরাধমূলক মামলায় অভিযুক্ত মুখতারের ৫ লক্ষ এবং আফজলের ১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। ২০০৭-এর ‘গ্যাংস্টার আইন’ অনুযায়ী তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক দুর্গেশ। আফজলকে শনিবার আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। অন্য দিকে, জেল থেকে শুনানিতে অংশ নেন মুখতার।

প্রসঙ্গত, মোদী পদবি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে গত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধীকে ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিল গুজরাতের সুরাত আদালত। তার পরেই ওয়েনাড়ের কংগ্রেস নেতার পদ খারিজ হয়। অতীতে জয়ললিতা, ওমপ্রকাশ চৌটালা থেকে শুরু করে হালফিলের উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী বিধায়ক আজম খান পর্যন্ত অনেকেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে পদ হারিয়েছেন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ