জেলা 

পূর্ব বর্ধমানে বজ্রপাতে মৃত্যু চার আহত ১

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রচন্ড গরমে যখন বাংলা জুড়ে হাঁসফাঁস অবস্থা ঠিক তখনই এলো স্বস্তির বৃষ্টি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন প্রান্তে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে একইসঙ্গে হয়েছে বজ্রপাত। আর এই বজ্রপাতেই মুর্শিদাবাদের প্রাণ হারিয়েছেন চারজন দেরিতে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের চারজনের মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে। বজ্রপাতে আহত হয়েছেন একজন পূর্ব বর্ধমানে।

খবরে প্রকাশ বৃহস্পতিবার ভাতারের বেলেণ্ডা গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে মনসুর আলি শেখের (৩৫)। মৃতের বাবা আসগর আলির কথায়, ছেলেকে নিয়ে মাঠ থেকে ফিরছিলেন তিনি। কিছুটা আসার পরই বজ্রাঘাত টের পান। কিছুটা এগোতেতেই দেখেন পেছনে আসতে গিয়ে উলটে পড়ে গিয়েছেন মনসুর।’

Advertisement

মৃতের বাবা আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার বেঙ্গালুরু চলে যাওয়ার কথা ছিল মনসুরের। তাই তড়িঘড়ি ধান কেটে ঘরে ঢুকিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। জানা গিয়েছে, ২ বিঘে চাষ করেছিল মনসুর। ১ বিঘের মত ধান কেটে ঘরে ঢোকাতে পেরেছিলেন। তারই মাঝে এই ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না মনসুরের পরিবার।

অন্যদিকে,কালনা মহকুমাতেও বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। মৃত খোকন শেখ (৪০) কালনা ১ ব্লকের কালিনগর পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এ দিন বজ্রাপাতে মৃত্যু হয়েছে খণ্ডঘোষের তোরকোনার বাসিন্দা বাসুদেব রায়ের(৫২)। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, এ দিন মাঠে ধান কাটার তোলার কাজ করছিলেন বাসুদেববাবু। এই সময়ে বজ্রাপাতে জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে, এ দিন বজ্রাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন বর্ধমান থানার নতুনগ্রামের বাসিন্দা মফুজা বেগম (৩৫)। তিনিও মাঠ থেকে ধান তোলার কাজ করছিলেন। বজ্রাঘাতে তিনি গুরুতর জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলকোটের জাঁহাপুর গ্রামের বাসিন্দা আপাল লোহারের (৪১) মৃত্যু হয়েছে।

পূর্ব বর্ধমান জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতর সূত্রে খবর, এ দিন বিকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে এই জেলায় ৪ জনের বজ্রাঘাতে মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন একজন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ