জেলা 

Siddiqullah Chowdhury: পুলিশকে সাবালক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কী আসলে মমতা সরকারকেই অস্বস্তিতে ফেললেন না?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : পুলিশকে সাবালক হওয়ার বার্তা দিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী জনাব সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তাঁর হুঁশিয়ারি,‘‘অ্যাকশন না নিলে সাধারণ মানুষ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে।’’

রবিবার পূর্ব বর্ধমানে মেমারির ঝিকরার সভা থেকে সিদ্দিকুল্লাহ বলেন, ‘‘যে বা যাঁরা মন্ত্রিসভার সদস্য, ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে গালমন্দ করছেন, অপদস্থ করছেন, আইনের চোখে তাঁরা অপরাধী। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করবে… আমি বলে রাখছি।’’ পরক্ষণেই মন্ত্রীর কথায়, ‘‘পুলিশ কী করবে তার ব্যাপার। কিন্তু পুলিশকে বুঝতে হবে কারা ‘অফিশিয়াল দল’। আঁশ আর বাঁশ পাতাকে এক করলে হবে না। মাছের আঁশ ফলে দেওয়া হয়। আর বাঁশ পাতা— তার একটা দায়িত্ব আছে। পুলিশ কি ভাবছে উনিও দল, ইনিও দল? পুলিশ কী নাবালক নাকি! পুলিশকে সাবালক হতে হবে। এ সব ভণ্ডামি আমি শুনব না।’’ কেন এমন কথা বললেন মন্ত্রী ? মন্ত্রীর বিরোধী বলে পরিচিত মেমারি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল । মূলত তাকে লক্ষ করে পুলিশকে সাবালক হওয়ার বার্তা দিলেন রাজ্যের বর্ষীয়ান মুসলিম নেতা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তবে এই রাজনীতিবিদ কী বুঝতে পারছেন না,দল তাকে গুরুত্ব দিলে পুলিশ তাঁর কথা শুনতো। আর পুলিশ মন্ত্রীর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে সাবালক হওয়ার পরামর্শ দিলেন? সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী আসলে মমতার সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন বলে ওয়াকিবহালমহল মনে করছে।

Advertisement

এখানেই থামেননি সিদ্দিকুল্লাহ আরও বলেন, ‘‘আমার চিন্তা পুলিশকে করতে হবে না। আমি পুলিশকে সম্মান করি। ঘুষ দিই না। পয়সা দিই না।’’

উল্লেখ্য, মেমারি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের সঙ্গে সিদ্দিকুল্লাহর দ্বন্দ্ব এলাকায় সুবিদিত। মন্ত্রীর অভিযোগ, পুলিশ ওই নেতার হয়ে কাজ করছে। তাঁর কথায়, ‘‘বাবু দাপাদাপি করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু পুলিশ দক্ষ প্রশাসকের ভূমিকা পালন করুক। আমি পুলিশের সঙ্গে বসি। কিন্তু ফিসফিস করি না। পুলিশকে তেল লাগাতে যাই না। যাদের পয়সা আছে, তারা পুলিশকে তেল দেবে। আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমি পুলিশকে তেল লাগাতে যাব না। প্রয়োজনে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব কিংবা ডিজিকে বলব।’’

রবিবার সন্ধ্যায় যে ঝিকরা গ্রামে সিদ্দিকুল্লা সভা করেন, সেখানেই মহম্মদ ইসমাইলের বাড়ি। সেখান থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করেন সিদ্দিকুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘‘আমি এসপিকে তেল লাগাতে যাব না। এসপি আমার গুরুদেব নন। এসপি, ডিএসপি দেখানো হচ্ছে! আজ লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে গেলাম পুলিশকে। ওরা কাজ না করলে মেমারি থানার বড়বাবুকে ঘেরাও করে রাখব। থানা থেকে বার হতে দেব না।’’

সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর মনে রাখা উচিত মোহাম্মদ ইসমাইল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের একজন কর্মাধ্যক্ষ তিনি প্রশাসনিক পদে রয়েছেন। পুলিশ মন্ত্রীর কথা না শুনে যদি ইসমাইলের কথা শুনে তাহলে এ কথা স্পষ্ট দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ইসমাইলের কথা শুনতেই পুলিশকে নির্দেশ পাঠিয়েছেন! সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মত বর্ষীয়ান একজন রাজনীতিবিদের পক্ষে এই সহজ কথাটা বুঝতে না পারাটা তাঁরই অক্ষমতা বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে!

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ