জেলা 

Abdul Karim Chowdhury : উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যুকে ঘিরে রাজনৈতিক দরজা, দুদিনের মধ্যে জেলা ও ব্লক সভাপতি ব্যবস্থা না নিলে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেবেন তৃণমূল নেতা আব্দুল করিম চৌধুরী

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে বোমার আঘাতে সিভিক ভলেন্টিয়ার এর মৃত্যুর পর রীতিমতো ফুঁসে উঠেছেন ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি আজ বৃহস্পতিবার বলেছেন, অবিলম্বে উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি এবং ব্লক সভাপতি বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না নিলে তিনি দল ছেড়ে দেবেন। বর্ষীয়ান এই তৃণমূল বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে অভিযোগ করেছেন দুদিনের মধ্যে জেলা সভাপতি ও লোক সভাপতিকে সরিয়ে না দিলে তিনি পদত্যাগ করবেন বিধায়ক পদ থেকে। একই সঙ্গে তিনি পরবর্তী নির্বাচনে নির্দল হয়ে ঐ কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন।

বিতর্কের সূত্রপাত, বুধবার রাতে ইসলামপুর থানার দক্ষিণ মাটিকুণ্ডা গ্রামে শাকিব আখতার (৩০) নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ ঘিরে। নিহত শাকিবের দাদা শাহনওয়াজ আলম স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তিনি আব্দুল করিমের গোষ্ঠীর লোক হিসাবেই পরিচিত। বুধবার রাতে তাঁর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের দখলে থাকা মাটিকুণ্ডা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মেহবুব আলমের নেতৃত্বে। তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল এবং তৃণমূলের ইসলামপুর ব্লকের সভাপতি জাকির হোসেনের গোষ্ঠীর লোক হিসাবে পরিচিত এই মেহবুব। এই নিয়েই কানহাইয়ালাল এবং জাকিরকে বিঁধেছেন আব্দুল করিম। এই সূত্রেই আব্দুল করিমের ‘চ্যালেঞ্জ’। বুধবার রাতে শকিবকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। হাসপাতালে পৌঁছে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আব্দুল করিম। কানহাইয়ালাল এবং জাকিরকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘উনি আমাদের সংগ্রামী নেত্রী। আমাকে ভালবাসেন। তাঁকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে এরাই। আমি ক্ষমা করব না। বিধানসভায় আমাকে হারানোর চেষ্টা করেছিল। করিম চৌধুরীকে দমাতে হবে এই সন্ত্রাসবাদী নেতাদের হাত দিয়ে। সংগঠনের সভাপতিকে রাখার জন্য আমাকে ইস্তফা দিতে বলা হচ্ছে। ঠিক আছে, যদি এই ক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তা হলে আমি ইস্তফা দিয়ে দেব।’’

Advertisement

আব্দুল করিমের এমন বক্তব্য নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ‘‘দলের এক জন নেতার মুখে এই ধরনের মন্তব্য অপ্রত্যাশিত। দল বিষয়টির উপরে নজর রাখছে।’’ বৃহস্পতিবার শাকিবের হত্যার প্রতিবাদে ইসলামপুরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন আব্দুল করিমের অনুগামীরা। তাঁরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন। ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় ধরে চলে অবরোধ। তার পর পুলিশি আশ্বাসে তা উঠে যায়। এর পর নিহত শাকিবের পরিবারের লোকজনকে নিয়ে ইসলামপুর থানায় বৈঠক করেন পুলিশ আধিকারিকরা।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ