অন্যান্য কলকাতা 

Kunal Ghosh: নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি নিয়ে নানা যুক্তি খাড়া করলেও কৌস্তভের গ্রেফতারির বিরোধিতায় সরব তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, কেন এই দ্বিচারিতা? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলাম : নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি নিয়ে অজুহাত তৈরি করলেও অদ্ভুতভাবে কৌস্তুভ বাগচীর গ্রেফতারির সরাসরি বিরোধিতা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। যদিও নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি নিয়ে এই কুণাল নানা যুক্তি দেখিয়েছিলেন কিন্তু হাই কোর্টে তাঁর দল পরিচালিত কলকাতা পুলিশ থেকে শুরু করে রাজ্য পুলিশ কেউই নওশাদ সিদ্দিকীর অপরাধ কি ছিল তা হাই কোর্টে প্রমাণ করতে পারেনি? ফল স্বরূপ নওশাদ সিদ্দিকী নিঃশর্তে ৪২ দিন পর জামিন পেয়ে গেলেন। কিন্তু কেন বিনা অপরাধে ৪২ দিন নওশাদ সহ তাঁর কর্মীরা জেল খাটলেন তা নিয়ে তৃণমূলের বিবেক কুনাল ঘোষ কেন গর্জে উঠলেন না, তা নিয়ে নাগরিক সমাজ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে! নাকি নওশাদ সিদ্দিকী মুসলিম পরিবারের সন্তান বলেই তিনি নিরব ছিলেন! যাতে মমতার কাছ থেকে মুসলিম ভোট সরে যায় সেই জন্যে কি তিনি নিরব ছিলেন ! এর ফলে বিজেপির যাতে সুবিধা হয় তার জন্যই তৃণমূলের বিবেক নওশাদ ইস্যুতে যুক্তি দেখিয়েছিলেন! সেটা বড্ড জানতে ইচ্ছা করে।

যাইহোক, ভোট চলে যাবার ভয়ে এবার কৌস্তভ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের বিবেক এটা ভালো লক্ষণ । তবে বড্ড দেরি করে ফেলেছেন। কৌস্তভ নওশাদরা যা সুবিধা পাওয়ার পেয়ে গেছে।তবে কুণাল বাবু ফেসবুকে লিখেছেন,‘‘আমাদের ছাত্রযুবরা কৌস্তভের অসভ্যতা বুঝে নিতে পারত। কিন্তু পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার ঠিক হল না।’’

Advertisement

কুণাল আরও লিখেছেন, এই গ্রেফতারি ‘‘বিরোধী শক্তির অশুভ আঁতাঁতের কুৎসিত রাজনীতির হাতিয়ার হবে, একাংশের মিডিয়ার পক্ষপাতদুষ্ট প্রচারের মুখ হবে, কিছু মানুষের সহানুভূতি পাবে। গ্রেফতারকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করবে তারা।’’ তবে এই মত যে তাঁর ব্যক্তিগত, তা-ও জানিয়ে দিয়েছেন কুণাল। একই সঙ্গে, শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে কৌস্তুভ যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন, তারও নিন্দা করেছেন তিনি। কুণাল লিখেছেন, ‘‘কৌস্তুভ অন্যায় করেছে। মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে ওই ধরনের চরম কুৎসা বরদাস্ত করা যায় না।’’

পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে কুণালের। রয়েছেন হাসপাতালে। সেখান থেকেই কৌস্তুভকে নিয়ে তাঁর এই পোস্ট। এই গ্রেফতারির সঙ্গে উত্তর কলকাতার বিজেপি নেতা সজল ঘোষের গ্রেফতারিরও মিল দেখতে পাচ্ছেন তিনি। সে প্রসঙ্গ তুলে কুণাল লিখেছেন, ‘‘যে দিন পুলিশ সজলের বাড়ির দরজা ভেঙেছিল, আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। পরে প্রমাণিত হয়েছে আমার প্রতিবাদ সঠিক ছিল। লাভ হয়েছিল সজলের। মধ্য কলকাতায় একটি ওয়ার্ড জিতেছিল বিজেপি। সে দিন পুলিশি অভিযানের ধরন ছিল ভুল।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘সজলের দরজা ভাঙার ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল।’’

শনিবার কৌস্তুভকে গ্রেফতার করেছে উত্তর কলকাতার বড়তলা থানার পুলিশ। কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, আইএসএফ, বিজেপি ছাড়া বিদ্বজ্জনেরও এই গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কুণালের সতর্কবার্তা, ‘‘কৌস্তুভ অন্যায় করেছে। ওর অপরিণত, অসৌজন্যের কথার প্রবণতা আছেই। কিন্তু তার জবাব রাজনৈতিক ভাবে আমাদের ছাত্রযুবরা দিতে পারত। পুলিশি অভিযান ঠিক হল না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’’ আরও লিখেছেন, ‘‘আজও আমি কৌস্তুভের গ্রেফতারের বিরোধিতা করছি। এতে ওর এবং বিরোধীদের রাজনৈতিক লাভ হবে।’’

কুণাল ঘোষ কৌস্তভের গ্রেফতারি নিয়ে যেভাবে সরব হয়েছেন এইভাবে যদি নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি  নিয়ে সরব হতেন তাতে তৃণমূল দলের লাভ হত।সেই কাজটি কেন কুনাল ঘোষ করলেন ? তিনি কি দলের সংখ্যালঘু ভোট বা কমিটেড ভোট দলের স্বার্থেই ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন! বড্ড জানতে ইচ্ছা করে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ