কলকাতা 

মাধ্যমিক ২০২৩ : জীবন বিজ্ঞান : তোমাদের জন্য প্রিয় শিক্ষকদের ভাবনা (বাংলার জনরব স্পেশাল)

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

মাধ্যমিক ২০২৩ ● জীবন বিজ্ঞান ● ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার

*তোমাদের জন্য প্রিয় শিক্ষকদের ভাবনা*

       (বাংলার জনরব স্পেশাল)

➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖

*পাতা ভর্তি করে অযথা লেখা একদম নয়, লিখবে টু দ্য পয়েন্ট*

রাখি বিশ্বাস মহাজন, শিক্ষিকা, মেনা সরোজিনী পাহাড় হাই স্কুল

Advertisement

প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা,

মাধ্যমিকের তিন তিনটে পরীক্ষা হয়ে গেল। বাংলা, ইংরেজি, ভূগোল। এখন বেশ বুঝতে পারছো পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনো মানেই নেই।

● সূচিতে একটু রদবদল হল, সোমবারের ইতিহাস পরীক্ষা হবে বুধবার, আর আগামী মঙ্গলবার জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা। তাই দুটো দিন পুরোপুরি জীবন বিজ্ঞানের প্রস্তুতি নিতে পারবে।

● সময় যেহেতু বেশ খানিকটা পেয়ে গেলে, তাই এই সময়ে আরো একবার জীবন বিজ্ঞান রিভিশন করে নেয়া এবং চারিদিক নজর রেখে ঝালিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা বেশ ভালোভাবেই সম্ভব। সেটা অবশ্যই করবে।

● এবার আসি কয়েকটি খুব সাধারণ বিষয়ে, আর তারপর দুই একটা কথা বলি পরীক্ষা হলে তিন ঘন্টা ১৫ মিনিট কী করে টাইম ম্যানেজমেন্ট করবে, সে বিষয়ে ।

● তোমরা জানো যে এখন পনের মিনিট এক্সট্রা টাইম দেওয়া হয়, এটা দেওয়া হয় প্রশ্ন পড়ার জন্য।

● পরীক্ষার হলে অ্যাডমিট কার্ড রেজিস্ট্রেশন কার্ড নীল কালি কালো কালীর পেন পেন্সিল, ইরেজার , sharpner, scale এসব সব সঙ্গে রাখবে।

● প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর প্রথম যেটা করবে সেটা হলো খুঁটিয়ে প্রশ্নটা পড়ে নেবে।

পড়ে যে প্রশ্নগুলো তোমার একটু অন্যরকম মনে হবে সেগুলো নিয়ে মাথা ঘামাবে না। খাতা পাওয়ার সাথে সাথে খাতার ওপরে সুন্দর করে নিজের নাম।

● Admit card দেখে নিজের রোল নাম্বার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সব সুন্দর করে ঠিক করে লিখে নেবে।

দ্বিতীয়তঃ যে কাজটা করবে খাতার দুদিকে সমান মাপের জায়গা খালি রেখে মার্জিন টেনে নেবে।

● এতো গেল সব পরীক্ষার জন্য সাধারণ নিয়ম, এবার আসা যাক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা প্রসঙ্গে। যে কাজটা প্রথমে করবে সেটা হলো কোন বিভাগের প্রশ্নগুলো আগে লিখবে, তা ঠিক করে নেওয়া।

● যখন যে বিভাগ শুরু করবে সেটা শেষ করে তবে অন্য বিভাগ শুরু করবে।

হতে পারে তুমি ক বিভাগ আগে লিখলে না, খ বিভাগ আগে শুরু করলে। কোনো অসুবিধে নেই ,শুধু একটা জিনিস মনে রাখবে যখন যে বিভাগটা শুরু করবে পরপর সেই বিভাগের প্রশ্নগুলোই যেন লিখো।

● এমসিকিউ এর মধ্যে যেন কখনোই very short answer লিখো না। এতে পরীক্ষকদের খুবই অসুবিধে হয় খাতা দেখার সময়। এরকম ভাবে মিলিয়ে মিশে উত্তর লিখলে অনেক সময় ছোট প্রশ্নগুলো হয়তো চোখ এড়িয়ে গেল। তাই সবসময় চেষ্টা করবে যে বিভাগের উত্তর লিখবে সেগুলো যেন পরপর লিখ।

● আরেকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ভালো নম্বর তোলার ক্ষেত্রে সেটা হলো প্রশ্ন বাছাই করা। প্রশ্ন পড়ার জন্য অতিরিক্ত যে 15 মিনিট সময় দেওয়া হয় তখনই তুমি দেখে নেবে কোন প্রশ্নগুলো তুমি লিখবে। সব সময় চেষ্টা করবে যে প্রশ্নগুলোতে নম্বর বিভাজন বেশি থাকে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া। যেমন যেখানে দুটি পার্থক্য ,দুটি বৈশিষ্ট্য ,কোন উদাহরণ ,এসব চাওয়া হয় সেই উত্তর গুলো লেখার চেষ্টা করবে।

● প্রশ্নে উদাহরণ না দিতে বলা থাকলেও সুযোগ থাকলে দিয়ে দেবে।

● পার্থক্য লেখার সময় যে বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর ভিত্তি করে চাওয়া হয়েছে ঠিক সেই বৈশিষ্ট্যগুলোই লিখবে। পয়েন্ট করে উত্তর লেখার চেষ্টা কোরো।

● এবার আসি ছবি আঁকার কথায়,তোমরা জানো একটা ছবি আঁকতেই হয় ,এবারে কি কি ছবি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো টেস্ট পেপারে।দেখে নিয়েছো এতদিন, অভ্যাসও করেছ। সেগুলো পরিচ্ছন্ন করে সুন্দর করে আঁকবে। যে অংশগুলো চিহ্নিত করতে দেওয়া থাকে সেগুলো করবে।ছবিতে একেবারে আর্টিস্টের মতন আঁকতে হবে এমন কোন মানে নেই ,ছবি পরিচ্ছন্ন এবং বিজ্ঞানসম্মত হলেই হবে।

● হাতের লেখা সবার এক রকম হয় না। কিন্তু পরিচ্ছন্ন করে পরিষ্কার করে কাটাকুটি কম করে লেখা যায় । সেটাই চেষ্টা করতে হবে।

● চেষ্টা করবে পুরো ৯০ নম্বরের উত্তর দেবার অনেকে পারছে না বলে হয়তো কিছু ছেড়ে দিয়ে চলে আসে তখন নম্বর দেবার আর কোন জায়গা থাকে না। তাই চেষ্টা করবে পুরো ৯০ নম্বর এর উত্তর দেওয়ার।

● বারবার প্রশ্নপত্রটা পড়ে দেখবে, ঠিক কোনো না কোনো প্রশ্ন পেরে যাবে যদি অধ্যায় বুঝে পড়া থাকে তোমার।

● কোনো প্রশ্নের যদি পুরো ঠিক না হয় কিছুটা অন্তত নম্বর অ্যাটেন্ড করলে পেয়ে যেতে পারো। সেই জন্য পুরো ৯০ নাম্বার এর উত্তর দেবে।

জীবন বিজ্ঞান একটু প্রথম থেকে পড়লে খুব ভালো নম্বর পাওয়া সহজ।চেষ্টা করবে প্রশ্ন অনুযায়ী টু দ্য পয়েন্ট উত্তর লেখার। পাতা ভর্তি করে অতিরিক্ত লেখার দরকার নেই। আবার বলছি প্রশ্নটা ভালো করে পড়ে নেবে।

● আশা করছি সবার প্রস্তুতি ঠিকই আছে খুব ভাল পরীক্ষা হবে সবার। দুদিন এক্সট্রা সময় পেয়ে গেলে। নিশ্চয়ই সবাই খুব ভালো নম্বর পাবে।

● শেষে যে কথাটা না বললেই নয়,সেটা হল বিশেষ করে পরীক্ষার শেষ কটা দিন শরীর সুস্থ রাখা। এখন সিজন চেঞ্জ হচ্ছে, নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই খুব সাবধানে থাকতে হবে, হালকা খাবার দাবার খেতে হবে আর বেশি রাত অব্দি না জেগে পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিতে হবে। শরীর সুস্থ রাখো, যাতে নিজের সেরাটা দিয়ে আসতে পারো।

● জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা—-সবাই যাতে নিজের আশানুরূপ ফল করতে পারো, সেই কামনাই করছি। অনেক শুভেচ্ছা আর আশীর্বাদ রইল। অল দ্যা বেস্ট।

■ সৌজন্যে : অনুসন্ধান কলকাতা ■


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ